বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: স্বামীর হাতে খুন স্ত্রী (Murder Case)। পুলিশ গ্রেফতার (Arrest) করল স্বামীকে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore District) জেলার পিংলা থানার নয়া গ্রামে। গতকাল বিকেলে স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল বাধে। স্বামী রেগে গিয়ে স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। সেই লাঠির আঘাতে মৃত্যু হয় স্ত্রী বুলটি দাসের। বয়স ৩৪ বছর। এলাকার লোকেরা ঘটনাটি শুনে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এবং স্বামী শক্তি দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police)। 


গ্রামবাসী বাবু দণ্ডপাত বলেন, 'শক্তি দাস নিজের স্ত্রীকে সন্দেহ করত। এর আগেও ওদের নিজেদের মধ্যে ৪-৫ বার ঝামেলা হয়েছিল। সেগুলো তখন গ্রামবাসীরা বসে মিটমাট করে দিয়েছিল। আজ বিকেলে সন্দেহের কারণে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। তখন নিজের স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে মেরে খুন করেছে। ওদের বাড়ির মেয়ে এসে আমাদের খবর দেয়। আমরা গিয়ে দেখার পর পুলিশকে জানালাম। পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এবং আসামিকে গ্রেফতার করেছে। আমরা শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।' প্রসঙ্গত, সম্প্রতি  বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজারে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে। পাথর খাদানের কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে (Murder Case)। গুলিবিদ্ধ প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক। (Seriously Injured) গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি সিউড়ি সদর হাসপাতালে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে পুলিশের তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর,  রাত ৮টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। পাথর খাদানের শ্রমিক ধানু শেখ এবং ওই শিক্ষক ধনা হাঁসদা একই জায়গায় বসে ছিলেন। সেই সময় একজন সাইকেলে এসে খুব কাছ থেকে পরপর গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় খাদান শ্রমিকের। প্রাথমিক শিক্ষককে সিউড়ির সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পিছনে পাথর খাদান নিয়ে গোলমাল, নাকি পারিবারিক বিবাদ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


মূলত রাজ্যে একের পর এক খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। এর আগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) অশোকনগরে মেস থেকে নার্সিং পড়ুয়ার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের (Dead Body Rescue) ঘটনায় তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গলা ও শরীরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন মিলেছে। ঘটনার পর থেকেই নিহত পড়ুয়ার রুমমেটের খোঁজ নেই। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। মেসের ঘরে খুন ১৯ বছরের নার্সিং পড়ুয়া। খাটের নীচ থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। গলা ও শরীরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। ১৯ বছরের নার্সিং পড়ুয়া উদ্ধব সরকার পড়তেন অশোকনগর নার্সিং ট্রেনিং কলেজে। পুলিশ সূত্রে খবর, অশোকনগর থানা এলাকার কচুয়ায় এই বাড়িতে মেস করে থাকতেন নিহত পড়ুয়া উদ্ধব সহ ৪ জন। ৪ জনেরই বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। ২ জন বাড়ি চলে যান। মেসে ছিলেন উদ্ধব ও বিক্রম সরকার।  স্থানীয় সূত্রে দাবি,  বিক্রমকে মেসে তালা দিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। ঘটনার কথা জানাজানি হল কীভাবে ? 


আরও পড়ুন, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসের সামনে ধর্নায় অসুস্থ এক চাকরিপ্রার্থী


স্থানীয় সূত্রে খবর, উদ্ধবের বাড়ির লোকজন তাঁকে ফোন করে পাননি। মোবাইল ফোন সুইচড অফ ছিল। তাঁরাই খবর দেন মেসের মালিককে। মেস মালিক পুলিশকে খবর দেওয়ার পর পুলিশ এসে দরজা ভেঙে খাটের নীচ থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। মেসের মালিকের দাবি, পড়ুয়াদের ব্যবহারের জন্য তিনি যে রেফ্রিজারেটর রেখেছিলেন, তার মধ্যে তাঁর একটি ছুরি ছিল। ঘটনার পর থেকে সেই ছুরি উধাও। ঘটনাস্থলে যান অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই নিহতের রুমমেট বিক্রমের খোঁজ নেই। নার্সিং পড়ুয়া খুনের ঘটনায় তাঁর দিকেই সন্দেহের তীর। খুনের মোটিভ সেই মুহূর্তে স্পষ্ট নয়। এরপরেই বিক্রমের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালায় পুলিশ।