সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রবল বৃষ্টিতে বিপদসীমার উপরে নদীর জল। আর তাতেই শিলাবতীর জল ছাপিয়ে ভাঙল নদীর বাঁধ। দু জায়গায় ভাঙল যাতায়াতের রাস্তা। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ। হুহু করে জল ঢুকছে এলাকায়। দুর্গতদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করে জেলা প্রশাসন।
প্লাবনের জেরে বিপদে সাধারণ মানুষ: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনায় শিলাবতী নদীর জলস্তর রবিবার রাতেই বিপদসীমা ছাড়িয়ে যায়। সোমবার সকাল থেকেই নদীর বাঁধ ছাপিয়ে জল উপচে চলে আসে নদী বাঁধ সংলগ্ন রাস্তায়। সোমবার দুপুর থেকে নদীর জল সেই রাস্তা উপচে ঢুকতে শুরু করে কৃষি জমি ও এলাকায়। দুপুরের পর নদীর জলের চাপ আরও বেড়ে যায়। ফলে জলের তোড়ে ভেঙে যায় চন্দ্রকোনার বাঁকা ভবানীপুর এলাকায় ভবানীপুর থেকে বাগপোতা যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ মোরাম রাস্তাটি। যার জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ভবানীপুরের সঙ্গে বাগপোতা সহ একাধিক গ্রামের যোগাযোগ। রাস্তা ভেঙে গিয়ে শিলাবতী নদীর জল হুহু করে ঢুকছে কৃষি জমি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে। এতে বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি জলের তলায়। এই আবহে এবার হেল্পলাইন চালু করল জেলা প্রশাসন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস দুর্গতদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর পোস্ট করেছেন।
এদিকে আজ ষাঁড়াষাঁড়ির কটাল। জলস্তর বাড়লে সুন্দরবনের দুর্বল মাটির বাঁধগুলি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা। কোথাও কোথাও ইতিমধ্যেই বাঁধে ধস নেমেছে, ফাটল দেখা দিয়েছে। আতঙ্কিত উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। গতকাল সমুদ্রে ইলিশ ধরতে যাওয়া ৩টি ট্রলারের ৪৬ জন মৎস্যজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মৎস্যজীবী সংগঠন জানায়, কাকদ্বীপ ও ডায়মন্ড হারবার থেকে এই ট্রলারগুলি গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেয়। সমুদ্র উত্তাল থাকায় বিভিন্ন খাঁড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু গত দু’দিন ধরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তল্লাশি চালানো শুরু করে উপকূলরক্ষী বাহিনী।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: R G Kar Case Hearing: আজ আর জি কর মামলার শুনানি, দেশের নজর সুপ্রিম কোর্টে