সোমনাথ দাস, ঘাটাল: কোদাল হাতে নিয়ে নর্দমা থেকে জঞ্জাল তুলে ফেললেন মহকুমা শাসক। মশা তাড়াতে করলেন স্প্রে। 


পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা পুরসভা এলাকায় নির্মল বাংলা মিশনের কাজে সাফাই কর্মীর ভূমিকায় দেখা গেল ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাসকে।


যাঁর এক কলমের খোঁচায় পাস হয়ে যায় বড় বড় প্রশাসনিক ফাইল। সমাজকে পরিচ্ছন্ন রাখতে তিনিই সেই হাতে ধরলেন কোদাল। 


কখনও নর্দমা থেকে তুলে ফেললেন প্লাস্টিকের আবর্জনা। কখনও সাফাইকর্মীকে দেখিয়ে দিলেন কীভাবে স্প্রে করতে হয় মশানাশক ওষুধ। 


এমন দৃশ্য দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর এলাকার। সেখানে সাফাইকর্মীর ভূমিকায় দেখা গেল ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাসকে। 


শনিবার নির্মল বাংলা প্রকল্পের আওতায় সাফাই অভিযান শুরু করল তৃণমূল পরিচালিত চন্দ্রকোনা পুরসভা। গোবিন্দপুর থেকে কলেজ রোড হয়ে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড, একাধিক এলাকায় পুরসভার সাফাই ও স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে সচেতনতা পদযাত্রা করা হয়। 


অভিযানে পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যদের নেতৃত্ব দেন ঘাটালের মহকুমা শাসক। একটি দোকানের পাশে আবর্জনা ডাঁই হয়ে পড়ে থাকতে দেখে মালিকের কাছে জবাব চান তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দেন আবর্জনা যেন নির্দিষ্ট জায়গাতেই ফেলা হয়। 


দোকান মালিকের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, খদ্দেররা ফেলেছে বললে হবে না। খদ্দের তো আপনারই দোকানের। আলাদা বালতি রাখবেন খদ্দেরদের ফেলার জন্য। নইলে কিন্তু আমি দোকান বন্ধ করে দেব।


সুমন বিশ্বাস বললেন, নিজেদের সচেতন হতে হবে। অনেকেই ভ্যাটে নির্দিষ্ট জায়গায় জঞ্জাল ফেলছেন না। এই সচেতনতার কাজ চলবে। শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে পুরবাসীকে সহায়তা করবে।


করোনার মধ্যে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ থেকে সাবধান থাকার জন্য পুরসভার তরফে সচেতন করা হয় নাগরিকদের। জঞ্জালের স্তূপ বা যত্রতত্র জমা জল থেকে শহরকে মুক্ত রাখার আর্জি জানায় পুর কর্তৃপক্ষ।