বিশ্বজিৎ দাস, খড়গপুর: সংস্কারের অভাবে নদীর পাড় ভাঙছিলই, এবার ধস নামতে শুরু করেছে চাষের জমিতে। বিজেপি (BJP) পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন খড়গপুরের (Kharagpur) খাসতালুকের বাসিন্দারা। বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।


চাষের জমিতে ধস: চাষের জমির পাশে বিশালাকার নালা। বৃষ্টির জল এই নালাপথে এসেই মেশে কংসাবতীতে। গতবছর বর্ষার আগে থেকেই নদীর পাড় ভাঙছিল। তার মধ্যে এবার চাষের জমিতে ধস নামিয়ে আরও চওড়া হচ্ছে নালা। নষ্ট হচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের। সেখানকার বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসতালুকের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সংস্কারের অভাবেই এই পরিস্থিতি। প্রকাশ্যে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।


বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা শান্তনু ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রধান, বিডিও সবাইকে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। দীর্ঘদিন আশ্বাস দিচ্ছেন পঞ্চায়েত প্রধান কিন্তু কোন কাজ হয়নি। স্বপন বেরা বললেন ফোন করে জানাবো। কিন্তু আজ পর্যন্ত কিছু হয়নি। বর্ষার জলে কৃষকদের জমি নদীতে চলে গেছে।’’স্থানীয়দের অভিযোগকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছে তারা। পাল্টা বিজেপির দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে।


জেলা পরিষদের সদস্য ও তৃণমূল নেতা পিকু মাণ্ডি বলেন, “বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত ড্রেনটা মেরামত না করার জন্য এখন ওটা বৃহৎ আকার ধারণ করেছে। এবং ওটা ভেঙে ভেঙে গ্রামের দিকে এগিয়ে আসছে। গ্রামের মানুষেরা আতঙ্কে আছে যে কোন মুহূর্তে গ্রাম ভেসে যেতে পারে। বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজ হচ্ছে টাকা আত্মসাৎ করা।  উপপ্রধান কোন কাজ করে না। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ওদের সাধারণ কর্মী পর্যন্ত মিথ্যা কথা বলেন।’’


বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা বিজেপি নেতা স্বপন বেরা বলেন, “আমি ওখান থেকে খবর নিয়ে জানলাম হালকা ধস নেমেছে। এলাকার থেকে কোন পিটিশন আমাদের কাছে আসেনি। নদী পাড় ভাঙন আমরা রোধ করতে পারবো না পারে সেচ দফতর, জেলা পরিষদ। আমাদের হয়রান করার জন্য রাজনৈতিক চরিতার্থ করার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে এটা করছে যেহেতু বিজেপির বোর্ড আছে।’’ খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও জানিয়েছেন, “গ্রামবাসীরা সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সেচ দফতরকে জানিয়েছি।‘’


আরও পড়ুন: Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে নরেন্দ্রপুরে গেল হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি