কলকাতা: তিন প্রধানের অন্যতম ক্লাব। এত বছরের ঐতিহ্য সঙ্গী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একটিই আক্ষেপ ক্লাবের সঙ্গে বয়ে বেড়িয়েছে, তা হল জাতীয় লিগ সেরা একবারও হতে পারেনি দলটি। আই লিগের মঞ্চে একবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়নি মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। কিন্তু এবার সেই সুবর্ণ সুযোগ। আজ বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেতাবি লড়াইয়ে গোকুলাম এফসির (Gokulam FC) বিরুদ্ধে খেলতে নামছে সাদা কালো ব্রিগেড। ১৭ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট তাদের। এই ম্যাচ জিতলেই এবারের লিগ (I-League) চ্যাম্পিয়ন হবে মহমেডান। আবার গোকুলাম এই ম্যাচ ড্র করলেই চ্য়াম্পিয়ন হয়ে যাবে। কারণ তাদের ঝুলিতে ১৭ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট। রেড রোডের ধারের ক্লাবে কি ঢুকবে এবার আই লিগ? এবিপি লাইভকে একান্ত সাক্ষাৎকারে মহমেডানের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানালেন দলের টিম ম্যানেজার দীপেন্দু বিশ্বাস (Dipendu Biswas)। 


রিয়াল-সিটি ম্যাচের উদাহরণ টানলেন দীপেন্দু


কিছুদিন আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একটি দুর্ধর্ষ ম্যাচের সাক্ষী থেকেছি আমরা। রিয়াল মাদ্রিদ বনাম ম্য়ান সিটির ম্যাচটা নব্বই মিনিট পর্যন্ত মনে হচ্ছিল যে সিটিই হয়ত ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেবে। কিন্তু খেলা কিন্তু ঘুরে গিয়েছিল রডরিগোর ওই গোলদুটোতেই। আমরাও খাদের কিনারা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আজকে এই জায়গা পৌঁছেছি। রিয়াল যদি ওইখান থেকে ম্যাচ ঘোরাতে পারে, আমরা কেন পারব না? গোকুলামকে সমীহ করছি অবশ্যই। তবে ট্রফি ঘরে তোলার ক্ষমতা মহমেডানের রয়েছে। 


ঘরের মাঠ কী বাড়তি প্লাস পয়েন্ট?


দীপেন্দু; অবশ্যই দর্শকরা তো সবসময়ই বাড়তি মোটিভেশন জোগান। ছেলেরা নিজেদের চেনা পরিবেশে, চেনা মাঠে খেলবে। চল্লিশ হাজার দর্শকের সামনে খেলতে পারবে। এই সুবিধাটাই নিতে বলেছি সবাইকে। প্রতি মুহূর্তে গোকুলামের ওপর চাপ তৈরি করতে হবে। তবেই ম্যাচে জেতা সম্ভব।


তুরুপের তাস কে হতে পারে?


দীপেন্দু: দলের প্রত্যেকেই দারুণ পারফর্মার। তবে এছাড়াও আমাদের দলের বেশ কয়েকজন বিদেশি প্লেয়ার আছে, যারা দারুণ ছন্দে রয়েছে। মাঠ আমাদের, দর্শক আমাদের, স্টেডিয়াম আমাদের, আমাদের ১ গোল জিততেই হবে। তবে দলে মার্কোস, রুডোভিচ, হেনরি রয়েছে। তবে মার্কোস শেষ ৩ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার। কলকাতা লিগ, ডুরান্ড ও চলতি আই লিগেও এখনও পর্যন্ত ১৫ গোল করে ফেলেছে। আমি নিশ্চিত এই ম্যাচেও মার্কোসের পা জ্বলে উঠবে, আমাদেরও জেতাবে ও।


গোকুলাম কতটা বেগ দিতে পারে?


দীপেন্দু: এই দলটার বিরুদ্ধে এর আগে ডুরান্ডে খেলেছি আমরা। আগের বার আই লিগ জিতেছে ওরা। ওদের হালকাভাবে নেওয়ার কোনও মানেই হয় না। আমাদের কোচ রাশিয়ান। উনি এসে দলের খেলার মধ্যে অনেক আধুনিকতা নিয়ে এসেছেন। যা ছেলেরাও খুব তাড়াতাড়ি রপ্ত করে নিয়েছে। মাঠের ফলই তা বলে দিচ্ছে। কালও শেষ হাসি আমরাই হাসব।