অলোক সাঁতরা, শালবনি: পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore) হাতির (Elephant) তাণ্ডব। আজ ভোর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির (Shalbani) পাথরি গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ১৮-২০টি হাতির দল। চাষের জমিতে নেমে নষ্ট করছে ফসল। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২ সপ্তাহ ধরেই শালবনি ও মেদিনীপুর (Midnapore) সদর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে হাতির দুটি দল। নষ্ট করছে পাকা ফসল। একটি দলকে জঙ্গলে (Forest) পাঠাতে পারলেও, অন্য দলে হস্তিশাবক থাকায় জোর করেননি বন কর্মীরা। সেই দলটিই এদিন তাণ্ডব চালায়। বন দফতরের প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।


গত দু’সপ্তাহ ধরে শালবনি ও মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকাতে পাকা ধানের জমি সংলগ্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল। সম্প্রতি একটি দলকে মানিক পাড়ার দিকে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে বন দফতর। তবে শালবনির উনিশটি হাতির একটি দলকে তাড়াতে পারেনি। দলে হস্তিশাবক থাকায় তাড়াতে গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে সেই ভেবে বন দফতর খুব বেশি চাপ দেয়নি। স্থানীয়দের দাবি, সেই দলের হাতিগুলি বৃহস্পতিবার ভোর থেকে পাথরি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় তাণ্ডব তৈরি করে। গ্রামের পাশে থাকা সবজির জমি ধানের জমিতে নেমে ফসল খেয়ে নষ্ট করে দেয়।


শালবনির পাশাপাশি, পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) গলসি থেকে আউশগ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৪০টি হাতির দল। স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ ভোরে গলসির (Galsi) শিল্লার কাছে দামোদর পেরিয়ে ঢুকে পড়ে হাতির দলটি। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় গলসি থানার পুলিশ ও হুল্লা পার্টি। এরপর হাতির দলটি ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে, বর্ধমান-আসানসোল (Burdwan-Asansol) রেললাইন পেরিয়ে চলে যায় আউশগ্রামে। দলে ৪-৫টি হস্তিশাবক রয়েছে।


অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে (Jhargram) ধান খেতে উদ্ধার হল হাতির দেহ। আজ সকালে ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম ব্লকের কুকুড়াখুপি গ্রামে ধান খেতের মধ্যে পূর্ণবয়স্ক দাঁতালের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে বন দফতরের কর্মীরা এসে দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে বন দফতর জানিয়েছে।