অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: দোরগোড়ায় শীত। আর হেমন্তের শেষেই গুড় তৈরিতে মজেছেন মোহনপুরের গাছিরা। খেজুর রস থেকে গুড় তৈরির প্রস্তুতি শুরু পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) মোহনপুর ব্লকের আঁতলা গ্রামে।


হেমন্ত প্রায় শেষের দিকে। শোনা যাচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। আর এই সময়ে পাওয়া যায় সুস্বাদু খেজুর গাছের রস। অন্যান্য জেলার মতো পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলার মোহনপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় খেজুর গাছের রস সংগ্রহের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত গাছিরা। তবে আগের তুলনায় বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এই ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। রাসায়নিকের ব্যবহার বাড়ার ফলে গুড়ের নিজস্ব স্বাদ, গন্ধ হারাচ্ছে। আর তাই নির্ভেজাল খেজুর রস ও গুড়ের চাহিদা বাড়ছে।


জানা যায়, জেলার এই ব্লকে এক সময় প্রচুর খেজুর গাছ ছিল। বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। মোহনপুর ব্লকের আঁতলা গ্রামে বর্তমানে খেজুর রস সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত গাছিরা। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থেকে বেশ কয়েকজন খেজুর গাছের  রস মারতে প্রতিবছরের মতো এবছরও এসেছেন মোহনপুর ব্লকে। খেজুর রস তৈরি করেন অমিত মণ্ডল।  প্রতিবছর তাঁরা গাছ ছাড়িয়ে গুড় তৈরি করেন। শীতকাল ধরে এই কাজ করেন তাঁরা। তিনি জানান, প্রথমে গাছগুলি পরিষ্কার করা হয়। এক সপ্তাহ পর গাছে উঠে রস বের করার কাঁঠি মেরে দেই গাছে। সন্ধেয় হাঁড়ি কিংবা রস পড়ার পাত্র বেঁধে দিয়ে আসি। সারা রাত ধরে রস বের হয়। সকালে পাত্র নিয়ে এসে আমরা গুড় তৈরি করি।


মোহনপুর ব্লকের সভাপতি তপন প্রধান বলেন, এই পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় খেজুর গাছ আছে। শীতকালে খেজুরের রস এবং গুড় তৈরি করায় যে সব  চাষিরা পারদর্শী তাঁরাই খেজুরের রস নিয়ে সকালে বিক্রি করেন। আবার খেজুরের গুড় তৈরি করেন। গুড় ও রস বিক্রেতারা যাতে কোনও রাসায়নিক ব্যবহার না করেন সেই বিষয়ও সতর্ক করা হয়েছে।  


আরও পড়ুন: Weather Update: কলকাতায় ফের নামল পারদ, সপ্তাহান্তে রাজ্যজুড়ে জমিয়ে শীতের আমেজ