সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর:  জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যে কাউন্সিলর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন, এবার সেই তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে জুন মালিয়ার মিছিলে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ করলেন ২০১৩ সালে এই ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেরই তৃণমূল প্রার্থী চামেলী খাতুন। এ নিয়ে বিধায়কের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে লিখিতভাবে তিনি সেই অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানালেন।


কাঠগড়ায় খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর


আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের আনন্দপুরে জনসভা করতে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই জনসভার সমর্থনে শনিবার মেদিনীপুর শহরে বিধায়ক জুন মালিয়ার নেতৃত্বে এক মিছিলের আয়োজন করা হয়। আর এই মিছিলে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার মোজাম্মেল হোসেনের ওপর। অভিযোগ করলেন ২০১৩ সালে এই ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থী তথা এলাকার মহিলা নেত্রী চামেলী খাতুন। তিনি বলেন, শনিবারের মিছিলের জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন তিনি এলাকায় প্রচার করতে বেরোন, তখন তাকে ঘিরে ধরে মিছিলের জন্য কাউকে বলতে বাধা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, বিধায়ককে নিয়ে কটুক্তি করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি যারা বিধায়কের মিছিলে যাবে তাদেরকে সরকারী সুযোগ সুবিধে থেকেও বঞ্চিত করা হবে বলে কাউন্সিলার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে বিধায়ককে হোয়াটস আপে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।


মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ


মিছিলে বাধা দেওয়ার এই ধরনের অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলার মোজাম্মেল হোসেন। তার পাল্টা দাবি, মিছিল হবে বলে তিনি নিজেই জানতেনই না। হয়তো বিধায়কের নামে মুখ খোলার জন্যই এই অভিযোগ। উল্লেখ্য শনিবারের ওই মিছিলের পর বিধায়ক জুন মালিয়া এই ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলারকে না জানিয়ে ওয়ার্ডের বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা এরশাদ আলীর সাথে কথা বলতে আসেন বলে জেলা সভাপতির কাছে নালিশ করেছিলেন কাউন্সিলার মোজ্জামেল হোসেন। তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তার নামেই পালটা অভিযোগ জমা পড়ল বিধায়কের কাছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জন্য ই এই ঘটনা, দাবি বিজেপির।


প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্টীদ্বন্দ্ব


গতবছর খড়গপুর, মেদিনীপুরের পর পূর্ব বর্ধমানের কালনায় প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের গোষ্টীদ্বন্দ্ব। শাসকদলের নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন তৃণমূলেরই (TMC) কাউন্সিলররা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, আবার, এক তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্য়ানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন তাঁরই দলের কাউন্সিলররা। কাউন্সিলরদের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন পুর চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে পুরসভা পরিচালনা করা হচ্ছে।