পূর্ব মেদিনীপুর: ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে ( Bhupati Nagar Blast) চাঞ্চল্যকর মোড়। বাড়িতে বাজি (Fire Crackers) তৈরির সময়ই বিস্ফোরণ (Blast) হয়! এই দাবি করে পুলিশের (Police) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী (TMC Leader's Wife)।পুলিশ সূত্রে দাবি, নিহতের স্ত্রী দাবি করেন, তাঁদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বাজি বানানো হত। তাঁর স্বামী রাজকুমার ছাড়াও লালু মান্না এবং বিশ্বজিৎ গায়েনও সেখানে বাজি বানাতেন। লতারানির দাবি, এই নিয়ে বারবার আপত্তি জানানো সত্বেও, স্বামী কর্ণপাত করেননি! শুক্রবার রাতে, বাজি তৈরির সময় কেউ ধূমপান করছিলেন। তারই ফুলকি গিয়ে পড়ে বারুদে। তা থেকেই এত বড় বিস্ফোরণ! যদিও তাঁর আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা বলছেন, তৃণমূল নেতার বাড়িতে বাজি তৈরি হত বলে তাঁরা কখনও শোনেননি! এদিকে ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টা পার, এখনও পৌঁছল না ফরেন্সিক টিম। আজ ভূপতিনগরে যাচ্ছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। বিস্ফোরকের খোঁজে , চালানো হবে তল্লাশি।


পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) ভূপতিনগর (Bhupatinagar) বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল নেতা-সহ ৩ জনের। কিন্তু, বিস্ফোরণস্থল থেকে অনেকটা দূরে পৃথক পৃথক জায়গায় উদ্ধার হয়েছে তাঁদের মৃতদেহ। তা নিয়েই সন্দেহ দানা বেধেছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টা করা হচ্ছিল? আর কেউ আহত কিংবা মারা গেছেন কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর (Bhupatinagar)! মৃত্যু হয় তৃণমূলের (TMC) বুথ সভাপতি ও দুই তৃণমূল কর্মীর! কিন্তু, রহস্যজনকভাবে পৃথক পৃথক জায়গা থেকে উদ্ধার হয় দেহ! শনিবার বিস্ফোরণস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তৃণমূল কর্মী লালু মান্না এবং বিশ্বজিৎ গায়েনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 


আরও পড়ুন, আজ OMR শিট সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেবে সিবিআই


পুলিশ সূত্রের খবর, নিহত ৩ জনের শরীরেই ঝলসে যাওয়ার ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে তৃণমূল (TMC) নেতা-সহ ৩ জনের মৃতদেহ বিস্ফোরণস্থল থেকে এতদূরে পৌঁছল? বিস্ফোরণে আর কারও মৃত্যু কিংবা কেউ আহত হয়েছেন কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। স্থানীয় সূত্রের দাবি, রাত ১১টায় বিস্ফোরণ হয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে। মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সকাল ১০টায় সিভিক ভলান্টিয়ার যায় এলাকায়। অভিযোগ, তারপর থেকে আর পুলিশের দেখা মেলেনি!যে কোনও বিস্ফোরণের তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া নমুনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এদিন সকাল থেকে ঘটনাস্থল ছিল কার্যত অরক্ষিত! শেষ পর্যন্ত বেলা ৩.১৫ নাগাদ, দেখা মেলে পুলিশের।