বিশ্বজিৎ দাস,পশ্চিম মেদিনীপুর: খুনের আসামী জেল থেকে ফোন করে প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader) ১০ লক্ষ টাকার দাবি। 'না দিলে' পরিবার-সহ তাকে 'প্রাণনাশের' হুমকি (Threats)। থানায় অভিযোগ প্রাক্তন তৃণমূল নেতার।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার (West Midnapore) প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মনোজ তাম্বেকে গত পরশুদিন 'মঙ্গলবার' গরবেতা থেকে খড়গপুর শহরের খরিদা এলাকায় বাড়ি ফেরার পথে জেল থেকে শ্রীনু মার্ডার কেসের আসামী শঙ্কর রাও ফোন করে ১০ লক্ষ টাকার দাবি করেন। তিনি 'না' বললে তাকে এবং 'তাঁর পরিবারকে গুলি করে মেরে দেওয়ার হুমকিও দেন' বলে অভিযোগ মনোজ তাম্বের। গতকাল খড়গপুর টাউন থানায় প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মনোজ তাম্বে লিখিতভাবে শংকর রাওয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এ তো চলতেই থাকে। কেউ বলে কেউ বলে না। সারা বছর ধরে হয় এরকম। ধমকি দিয়ে তোলাবাজি হচ্ছে পুলিশ জানে কিন্তু কিছু করে না। সেই জন্য এখানে চলে। পুলিশ যদি চাই দুদিনে বন্ধ করতে পারে।' অজিত মাইতি বলেন, মনোজ তাম্বে টাউন থানায় অভিযোগ করেছে কোনও এক ব্যক্তি জেল থেকে তাকে ফোন করে টাকা চাইছে। এটা অন্যায়, কিন্তু এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সংস্পর্শ নেই। কে ক্রিমিনাল করেছেন। কাকে করেছেন। এগুলো আমরা জানতেও চাই না। কিন্তু দিলীপ ঘোষের এই নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন আমি বুঝতে পারছি না। উনি বলছেন এর জন্য নাকি সারা বাংলার আইন-শৃঙ্খলা উপনীত হয়ে গেল। এর মানেটা কী ! উনি কী বোঝাতে চাইছেন ? এসব কথা বলে উনি খড়্গপুরে কি ক্রিমিনালদের আহ্বান করতে চাইছেন ? নিজের হাত শক্ত করার জন্য !'
আরও পড়ুন, স্কুলের ভোটে হেরে তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠদের তাণ্ডব! কান্নায় ভাঙলেন প্রধান শিক্ষক
একুশ সালের জুলাই মাসে এরকমই একটি অভিযোগ উঠেছিল। ২ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতার বাড়িতে চিঠি, থানায় জানানোয় বাড়ির সামনে বোমাবাজি, খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে শুরু হয় সেসময় রাজনৈতিক তরজা। নেপথ্যে বিজেপির হাত দেখে তৃণমূল। পাল্টা শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলকে দায়ী করেছে গেরুয়া শিবির। ‘তোলা’ চেয়ে ওই তৃণমূল নেতাকে চিরকুট পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। থানায় জানানোয় বোমাবাজি , এসএমএসে খুনের হুমকি পাওয়ার মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন সেসময় নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ খাসিনুর রহমান। মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের অভিযোগ, ৩০ জুন বাড়িতে চিরকুট পাঠিয়ে ২ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়। এরপর ৯ জুলাই বাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোমা। পরদিন থানায় অভিযোগ জানান তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, এরপর এসএমএস পাঠিয়ে ফের টাকা চেয়ে খুনের হুমকি দেওয়া হয়।