অমিত জানা,পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘন কুয়াশার (Fog) মাঝে লরির ধাক্কা প্রাইভেট কারকে (Accident)। লরিকে আটকাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসকের। জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় থানার ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে উকুনমারির কাছে সোমবার সাতসকালে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক চিকিৎসকের। আহত তিন। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে মকরামপুর হাসপাতালে। তবে প্রকৃতই কি ঘনকুয়াশাই দায়ী ? কারণ ঘটনায় উঠে এসেছে একটি বিস্ফোরক তথ্য।


দুর্ঘটনা নাকি 'খুন' ?


জানা গিয়েছে, সোমবার ভোরে খড়গপুর থেকে প্রাইভেট গাড়িতে করে দীঘা যাচ্ছিলেন চিকিৎসক দম্পতি-সহ পাঁচ জন। যাওয়ার সময় একটি লরি জাতীয় সড়কে ওই প্রাইভেট কারটিকে ওভারটেক করতে গেলে প্রাইভেট কারের সামনের অংশে ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনার পর প্রাইভেট কারের যাত্রীরা নেমে ওই লরি চালককে আটকে, বচসায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর লরি চালক, লরি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে চিকিৎসক ৪৫ বছর বয়সি গৌতম মুখোপাধ্যায়, লরির সামনে দাঁড়িয়ে তাকে আটকাতে গেলে তার ওপর দিয়ে চলে যায় লরিটি। ঘটনাস্থলে লরির তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ওই চিকিৎসকের। আর এর পরেই প্রশ্ন উঠেছে, এটা কি প্রকৃতই দুর্ঘটনা, নাকি 'খুন' ? জানা দিয়েছে, এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মকরামপুর হাসপাতালে। মৃতদেহ সংগ্রহ করে নারায়ণগড় থানার পুলিশ।


দিঘায় বেড়াতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা


 দিঘায় বেড়াতে গিয়ে আনন্দ করে ফেরার সময় ঘটে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। বাঁকুড়া থেকে দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন ১০ জনের পর্যটক দল। বেড়িয়ে ফেরার সময় ঘটে গেল দুর্ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই এই পরিণতি। শীত কাল। ঘন কুয়াশা। দুরন্ত গতি। আর এর ফলে দুর্ঘটনা। এমন একাধিক দুর্ঘটনার খবর আসছে বিভিন্ন জেলা থেকে। তেমনই আরও একটি মর্মান্তিক খবর এটি। দিঘা বেড়িয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বোলেরো গাড়িটি। দুর্ঘটনায় বেঘোরে প্রাণ গেল এক যাত্রীর। মৃত পর্যটকের নাম আলিমুদ্দিন মির্জা (২৭)। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচেছেন, তবে গুরুতর আহত চারজন । পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানা ঠাকুর চকের কাছে রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরিকে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে পর্যটক বোঝাই গাড়িটির। জানা যাচ্ছে, তারপর তা ছিটকে রাস্তার ধারে পড়ে যায়।


আরও পড়ুন, 'ওনাকে মর্যাদা দেননি', নেতাজির জন্মদিনে কাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর ?


যাত্রীবোঝাই বাসের চাকা ফেটে বিপত্তি


সম্প্রতি কাটোয়া থেকে কীর্ণাহারে যাওয়ার পথে যাত্রীবোঝাই বাসের চাকা ফেটে বিপত্তি ঘটে। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে কালভার্টের গার্ডওয়াল ভেঙে খালে পড়ে যায় বাস। আহত হন ১২ জন যাত্রী। অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এর আগে ডিসেম্বর মাসে, হুগলির হরিপালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে যায় পর্যটক বোঝাই বাস। মৃত্যু হয় এক মহিলা যাত্রীর। আহত হন ৩৫ জন। আঘাত গুরুতর হওয়ায়, ১৫ জনকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাসচালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণে দুর্ঘটনা বলে মনে করা হয় প্রাথমিক তদন্তে।