সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: দামোদর নদে তলিয়ে যাওয়া ছাত্রের নিথর দেহ উদ্ধার (Deadbody Rescue)। মূলত ধনিয়াখালীর নিশ্চিন্ত পুর এলাকার দামোদর নদের চড়ে বন্ধুদের সাথে পিকনিক করতে গিয়েছিল ধনিয়াখালীর গোপীনগরের নীলাঞ্জন বোস। অভিযোগ গতকাল দুপুরে দামোদর নদে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় নীলাঞ্জন। ঘটনাস্থলে যায় ধনিয়াখালী থানার পুলিশ (Police)। প্রায় ২৪ ঘন্টা পর দামোদর নদে তলিয়ে যাওয়া ছাত্রের নিথর দেহ উদ্ধার হল আজ। 


দামোদর নদে স্নান করতে নেমে নিজে থেকেই কী তলিয়ে গিয়েছিল নীলাঞ্জন ?


প্রথমে জাল ফেলে স্থানীয়দের দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। খোঁজ না মেলায় সন্ধ্যায় আলো জেলে নামানো হয় ডুবুরি। তার পরও কোন হদিস না মেলায় আজ সকালে ফের ডুবুরি ও স্পিড বোর্ড নামনো হয় দামোদর নদে। অবশেষে প্রায় ২৪ ঘন্টা পর দামোদর নদ থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ ছাত্রের নিথর দেহ। রকেশ্বর ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল নীলাঞ্জন বোস। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে নিয়ে গেছে ধনিয়া খালি থানার পুলিশ। তবে একটা প্রশ্ন উঠছেই, দামোদর নদে স্নান করতে নেমে নিজে থেকেই কী তলিয়ে গিয়েছিল নীলাঞ্জন, নাকি এর পিছনে কোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে ? যদিও যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।


এর আগেও নদীতে ডুবে মৃত্যু একাধিক ছাত্রের


 প্রসঙ্গত, একুশ সালেও নদীতে ডুবে একাধিক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নদীতে ডুবতে থাকা বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রের। ঘটনাটি ঘটেছিল সালানপুর থানার বরাকর নদীর বৃন্দাবন ঘাটে। পুলিশ জানায়, রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দা ছয় কিশোর মাইথন সংলগ্ন বৃন্দাবন ঘাটে ঘুরতে যায়। সেখানে নদীতে স্নান করতে নামে সৌভিক নামে এক কিশোর। সে ডুবে যাচ্ছে দেখে তাকে বাঁচাতে জলে নেমে পড়ে যশরাজ তেওয়ারি ও আরও এক বন্ধু। তিনজনেই ক্রমে তলিয়ে যেতে থাকলে সেখানে উপস্থিত গ্রামবাসীরা উদ্ধারে নেমে পড়ে। তিনজনকেই উদ্ধার করা হয়। কিন্তু, যশরাজকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।


আরও পড়ুন, 'ডিসেম্বর' পার, ফের শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি পেতেই 'পাগলের চিকিৎসার' পরামর্শ কুণালের !


দামোদরে স্নান করতে গিয়ে নীলাঞ্জনের মতোই তলিয়ে যান বোলপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বিশাল দাস। মাসির ছেলের সঙ্গে শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর ব্যারেজে দামোদরের বর্ধমান ক্যানেলে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে যান বছর ঊনিশের বিশাল।  বসিরহাটের স্বরূপনগরে ইছামতীর খাল থেকে উদ্ধার হয় আইটিআই পড়ুয়ার দেহ। অন্যত্র খুন করে দেহ এখানে ফেলা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করে পুলিশ। পরিবারের দাবি,  সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিলেন উৎপল বিশ্বাস নামে ওই যুবক। মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। এদিন স্বরূপনগরের তেঁতুলিয়ায় ইছামতীর খাল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।