পশ্চিম মেদিনীপুর: ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। তারপরও ক্রেতা, বিক্রেতাদের বড় অংশের মাস্ক পরার অনীহা রয়ে গেছে। সচেতনতা বিন্দু মাত্র নেই পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore)। একাধিক বাজারের ছবিটা এমনই।
কেউ মাস্কের (Mask) কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লেন। কারও আবার মাস্ক ভুলে যাওয়ার রোগ। বাহানার শেষ নেই। বৃহস্পতিবার দেশের দৈনিক সংক্রমণ (Daily Case) আড়াই লাখ ছুঁয়ে ফেলেছে। উদ্বেগ বাড়িয়ে সাপ্তাহিক সংক্রমণের হারে দেশের মধ্যে প্রথম বাংলা। যখন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে করোনা, তখনও মাস্কহীন অজস্র মুখ দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরে। সবই আছে, শুধু মাস্ক নেই।
সংক্রমণ বেড়ে চলেছে কিন্তু সচেতনতার ছিটেফোঁটা নেই, ক্যামেরা দেখে কেউ মাস্ক পরলেন। এমন ছবি দেখা গেল গড়বেতা (Garbeta) শহরের দৃশ্য। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থেকে চন্দ্রকোণা (Chandrakona)। ক্রেতা, বিক্রেতার বড় অংশের মুখে নেই মাস্ক। কেউ প্রশ্ন শুনে মুচকি হাসছেন, কেউ গামছা, মাফলার দিয়ে মুখ ঢাকছেন। অবাধ্য নাগরিকদের বাগে আনতে মেদিনীপুর (Midnapore) ও পিংলায় (Pingla) পথে নামেন জনপ্রতিনিধিরা। পিংলার তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, “কোনওভাবেই করোনা বাড়তে দেব না। যারা একদম কথা শুনছে না, তাদের ক্ষেত্রে একটু কঠোর।’’ মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসক সৌমেন খাঁ বলেন, “যারা মাস্ক পরছে না তাদের বাধ্য করছি ক্রেতা-বিক্রেতাদের। ক্রেতাদের বলছি মাস্ক না পরলে জিনিসপত্র দেওয়া হবে না।’’
অন্যদিকে, সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে পাশের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে কড়াকড়ি। এদিন বাজার বন্ধের নির্দেশের পরেও, খোলা ছিল বেশ কিছু দোকান। দোকান বন্ধ করে দেয় পুলিশ। তমলুক হাসপাতাল মোড়ে অনেককেই দেখা যায় মাস্ক ছাড়া ঘুরতে। সংক্রমণ মোকাবিলায় তমলুকে রূপনারায়ণের তীরে বারুণী মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: Purba Bardhaman News: ঢেঁকির জায়গা নিয়েছে মেশিন, পৌষ পার্বণ বেঁচে শুধু গ্রাম বাংলাতেই