বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: রাশিয়ান ইঞ্জিনিয়ারের (Russian Engineer) অস্বাভাবিক মৃত্যু। চলতি মাসের ৪ নভেম্বর রাশিয়ার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার (West Midnapore District) খড়্গপুরের রেশমি মেটালিক্স কারখানায় টেকনিকেল কিছু সমস্যা ঠিক করার জন্য এসেছিলেন গ্যাটুলিন রুসলেন-সহ চারজন। খড়্গপুরের সাহাচকে এলাকায় একটি বহু তলে দুটো কামরায় ছিলেন চারজন রাশিয়ান ইঞ্জিনিয়ার।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যাক্তির নাম গ্যাটুলিন রুসলেন বয়স(৬০)। আজ সকালে রুমের মধ্যে ব্রেকফাস্ট করার সময়, হঠাৎ করে গ্যাটুলিন রুসলেন নামে ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটলো ? সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছে খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। পাশাপাশি, প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও, শহর কলকাতাতেও একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।  স্থানীয় সূত্রে খবর, গল্ফগ্রিনের অরবিন্দনগরের এই বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রডাকশন হাউস খুলেছিলেন, বেহালার বাসিন্দা, পঙ্কজ দাস (৫৮) নামে ওই প্রডিউসার। ছোটপর্দা ও বড়পর্দা, দুইয়েই প্রযোজনার কাজ করেছেন তিনি। কর্মীদের দাবি, শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ, প্রোডাকশন হাউসের মধ্যে, তাঁরা প্রযোজকের ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সকরা মৃত ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর, সম্প্রতি তাঁর হাতে সেরকম কাজ ছিল না। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তার জেরেই কি আত্মহত্যা? অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে গল্পগ্রিন থানার পুলিশ। 


আরও পড়ুন, ফের গান বাঁধলেন মদন, ফোকাসে পঞ্চায়েত ভোট ও আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপ


কিছুদিন আগেই হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বর্ধমানের মেমারিতে নিজের বাড়িতে মেলে ঝুলন্ত দেহ। অবসরের পর ৩ বছরেও পেনশন না পেয়ে অবসাদে ভুগছিলেন, অভিযোগ পরিবারের। ২০১৯-এ শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত হন শিক্ষক সুনীলকুমার দাস। পেনশনের জন্য অনেক বার বিকাশ ভবনে গিয়েছিলেন, দাবি মৃত শিক্ষকের স্ত্রী-র। এর পর থেকে দীর্ঘ দিন ধরে শুধু হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। গত তিন বছরে পুরনো স্কুলে গিয়েছেন একাধিক বার। বিকাশ ভবনেও গিয়েছেন বার বার। পেনশন না পেয়ে অসুবিধা হচ্ছে, জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। মৃত শিক্ষকের পরিবার আরও জানায়, দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন সুনীলবাবু। একমাত্র ছেলেও পিএইচডি সম্পূর্ণ করেছেন। শীঘ্রই শংসাপত্র পেয়ে যাবেন তিনি। পেনশনের টাকা ছাড়াই সব দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ ভাবে চলতে চলতে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তিন বছরেও পেনশন চালু না হওয়ায় বিধ্বস্ত বোধ করছিলেন। তারপরেই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। যদিও কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে আরও একাধিক এমন উদাহরণ রয়েছে কলকাতা-সহ জেলাতেও।