বিশ্বজিৎ দাস,পশ্চিম মেদিনীপুর: পিংলায় (Pingla) ইউনেসকো-র (UNESCO) প্রতিনিধিদল। মূলত পটচিত্র-কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে চলছে আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র। পিংলার ঐতিহ্যমণ্ডিত পটচিত্র পরিদর্শনে আসেন ইউনেসকো-র পরিদর্শক দল। এদিন পরিদর্শন করেন ইউনেস্কোর দুই প্রতিনিধি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুইয়া, জেলাশাসক আয়েশা রানী ও প্রমুখ। এদিন, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা'র নয়া গ্রাম ঘুরে দেখেন প্রতিনিধিরা (UNESCO's Representative Group)।


পট শিল্প-কে 'কালচারাল হেরিটেজ' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের


উল্লেখ্য যে, পিংলার এই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পট শিল্প-কে 'কালচারাল হেরিটেজ' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। বৃহস্পতিবার বাংলার দুর্গা পূজা-কে 'হেরিটেজ' তকমা দেওয়ার খুশিতে কলকাতায় যে উৎসব পালিত হয়েছে, সেখানেই এসেছিলেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের অনুরোধ করা হয়, পিংলার ঐতিহ্যমণ্ডিত ও সুপ্রসিদ্ধ পট চিত্রের সৃষ্টি শৈলী খতিয়ে দেখার জন্য। এরপরই, শুক্রবার এই পরিদর্শন হয়।


পিংলার নয়াকে আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে:মানস রঞ্জন ভুঁইয়া


মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, "পিংলার নয়াকে আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিক ইচ্ছেতে সেভাবেই আমরা এগোচ্ছি। আজকে ইউনেস্কো'র প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। প্রথমবার পরিদর্শন হল। হেরিটেজ একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া বা লং প্রসেস। সময় লাগবে, তবে আমরা আশাবাদী। ইতিমধ্যে, পিংলার এই পটুয়া বা পট শিল্পীদের খ্যাতি ও সৃষ্টি দেশ-বিদেশে প্রশংসিত। হেরিটেজ তকমা পেলে তা খ্যাতির শিখরে পৌঁছবে।"জেলাশাসক আয়েশা রানী-ও বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী। একই সঙ্গে পর্যটন শিল্পের প্রসারে জেলা প্রশাসনের তরফে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।


অসাধারণ সৃষ্টি শৈলী,নিঃসন্দেহে এই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি অনন্য: বললেন প্রতিনিধি দলের তরফে জন সিব্টিয়ান কার্টিস


আরও পড়ুন, ' ৫ পয়সা নিয়েছি প্রমাণ হলে ফাঁসি-মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব', বিস্ফোরক অভিষেক


অপরদিকে, প্রতিনিধি দলের তরফে জন সিব্টিয়ান কার্টিস বলেন,পট চিত্রের এই ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সৌন্দর্যের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, "অসাধারণ সৃষ্টি শৈলী। সেভাবে প্রাচীন পুরান ও কাহিনীকে চিত্র ও সঙ্গীতের মাধ্যমে সজীব (জীবন্ত) রূপ দেওয়া হচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। নিঃসন্দেহে এই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি অনন্য।" হেরিটেজের বিষয়টি নিয়েও তাঁদের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে।