বিশ্বজিৎ দাস,পশ্চিম মেদিনীপুর: খড়গপুর স্টেশনে (Kharagpur) জিআরপির (GRP) হাতে গ্রেপ্তার এক যুবক, উদ্ধার দুই লক্ষ টাকা। রাজ্যে এই নিয়ে বড় স্টেশনগুলিতে টাকা উদ্ধারের ঘটনা বেড়েই চলেছে। আজ ধৃতকে খড়গপুর মহকুমা আদালতে (Court) তুলেছে  খড়গপুর জিআরপি।


ব্যাগে নেই টিকিট, পর্দাফাঁস ২ লক্ষ টাকার


পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর স্টেশনে চার নম্বর প্লাটফর্মে হাওড়া-ঘাটশিলা ট্রেন থেকে নামার পর তাকে টিটি ধরে টিকিট দেখতে চান। তার কাছে এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট না থাকার কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সহেব সঠিক টিকিট না দেখাতে পারায় তাকে তুলে দেওয়া হয় খড়গপুর স্টেশনে জিআরপির হাতে। জিআরপি তার কাছে তল্লাশি চালিয়ে ২ লক্ষ টাকা ও কিছু নথি উদ্ধার করে। এতো টাকা নিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন সহেব, জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সহেব জানায় সরকারী চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে বেশ কয়েকজনের থেকে দু লক্ষ টাকা নিয়ে খড়্গপুরের একজনের হাতে তুলে দিতে এসেছিল বলে জিআরপি সূত্রে জানা যায়। 
খড়গপুর জিআরপি আজ ধৃতকে খড়গপুর মহকুমা আদালতে তোলে।


আরও পড়ুন, পুজোর পরে রাজ্যে আসতে পারেন অমিত শাহ


হাওড়ার ছায়া খড়গপুরে


চলতি বছরের অগাস্টের মাঝামাঝি এমনই এক টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘটে হাওড়ায়। হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের ৪ এবং ৫ নম্বর গেটের কাছে দুই যুবককে পিঠে কালো ব্যাগ নিয়ে বেরোতে দেখেন আরপিএফ কর্মীরা। তাঁদের চলাফেরা দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফ-র। সঙ্গে সঙ্গে দুজনকে পাকড়াও করে ব্যাগ পরীক্ষা করা হয়। তখনই চক্ষু চড়কগাছ। লক্ষ লক্ষ টাকা বেরিয়ে আসে ব্যাগ থেকে। তবে কী উদ্দেশ্যে এত টাকা নিয়ে আসা হচ্ছিল , কোথায় যাচ্ছিলেন টাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আরপিএফ সূত্রে খবর, এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ওই দুজন। টাকার উৎস নিয়ে কোনও নথিও দেখাতে পারেননি। এরপরেই  কলকাতায় আয়কর দফতরে খবর দেওয়া হয়। তাঁরা টাকা গোনার মেশিন সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। উদ্ধার হওয়া অর্থ গুনে দেখা যায়, মোট ৩৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। দুই যুবককে আয়কর দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গত ৩ অগাস্ট-ও একই ভাবে হাওড়া স্টেশন থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল আরপিএফ। তাঁর কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। স্বাভাবিকভাবেই একের পর এক টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আরও বেশি কড়া নজর রাখছে রেল পুলিশ।