পশ্চিম মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের দিনে উলাট পুরাণ। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ৩ পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সদর ব্লকের মণিদহ ৩ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ টি আসনের মধ্যে ১০ টি ছিল তৃণমূলের দখলে ৭টি আসনে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। আজ তৃণমূলের ৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিলেন বিজেপিতে। এর জেরে ১০টি আসন গেল বিজেপিতে।
জুন মালিয়ার বিধানসভা কেন্দ্রে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আধঘণ্টা আগে তৃণমূলের ৩ জয়ী প্রার্থীর বিজেপিতে যোগদান ঘিরে নাটক চলল। যোগদানের পর দুই প্রার্থীকে পুলিশ রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশের দাবি, তিন প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ জানায় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই অভিযোগ পেয়েই তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহ ৩ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১০টি আসন। বিজেপি ৭টি আসন জেতে। এদিন বোর্ড গঠনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূলের ৩ জয়ী প্রার্থী।দাবি করেন, তৃণমূলের প্রধান পদে মনোনয়ন নিয়ে টানাপোড়েনের জন্য দলবদল। ওখানে তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়েছে, তাই যোগদান, জানায় বিজেপি। প্রার্থীদের উদ্ধারের আগে দলত্যাগীদের সুবিধাবাদী বলে নিশানা করেছিল তৃণমূল।
পঞ্চায়েতের দখল নিতে দলবদল কৌশল শুরু হয়েছিল আগেই। সম্প্রতি বাঁকুড়া ও কোচবিহারে বিরোধীদলের জয়ী প্রার্থীদের ভাঙিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এর ফলে বাঁকুড়ায় একটি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের পথে একধাপ এগিয়ে যায় শাসকদল। ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে দলবদল করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। জয়ী বিরোধী প্রার্থীদের দলবদল করিয়ে পঞ্চায়েতের দখল নিতে চাইছে তৃণমূল বোর্ড গঠনের আগে শাসকদলের বিরুদ্ধে আরও একবার এই অভিযোগ ওঠে বাঁকুড়া ও কোচবিহারে। বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের রাইপুর ব্লকের শ্যামসুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী সিপিএম প্রার্থী প্রসাদ নাবাদা শুক্রবার যোগ দেন তৃণমূলে। এই পঞ্চায়েতে ১৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ৬টি।