অলোক সাঁতরা, পিংলা (পশ্চিম মেদিনীপুর) : হাঁসখালি, কাকদ্বীপ, বোলপুর, দেগঙ্গার পর এবার পিংলা। ফের একবার উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিযোগ জানাতে নিজেই মেদিনীপুর আদালতে যান নির্যাতিতা। এই ঘটনায় অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।


ঠিক কী অভিযোগ


গতকাল রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় এক বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা হয়। এদিন সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মেদিনীপুর আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে যান। যার পর আদালতের নির্দেশে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ বেরাকে আটক করেছে। বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাশের মাঠে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্য ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলেই নির্যাতিতার অভিযোগ।


বিজেপির অভিযোগ


ঘটনার পর প্রভাবশালী তৃণমূল সদস্যদের পক্ষ থেকে অভিযোগ না জানাতে চাপ দেওয়ার ও পুলিশের পক্ষ থেকে নিষ্ক্রয়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথমে অভিযোগ জানানোই হয়নি। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি শুনে অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে বলেও দাবি পুলিশের পক্ষ থেকে।


তৃণমূলের জবাব


পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি বলেছেন, ঘটনাটি শোনার পরই পুলিশকে জানাই। রাতেই যেতে বলি ঘটনাস্থলে। পুলিশে প্রথমে অভিযোগ জানাতে চাননি মেয়েটির পরিবার। বিজেপি অবশ্য অন্যরকমভাবে ঘটনা সাজানোর চেষ্টা করছে। পুলিশকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছি, বিষয়টি সত্যি হলে যাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়।


কী ঘটেছে হাঁসখালিতে


নদিয়ার হাঁসখালিতে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বেশ কিছু দিন পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেই তথ্য সামনে আসে। পাশাপাশি নাবালিকার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের আগেই ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মতোও মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। গণধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আরও একজনও গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও পড়ুন- দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে চার ধর্ষণ মামলার তদন্ত, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের