কলকাতা: চারটি ধর্ষণ মামলায় দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মাটিয়া, ইংরেজবাজার, দেগঙ্গা, বাঁশদ্রোণী থানার ধর্ষণ মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) শুনানি। মঙ্গলবার সেখানেই এই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির। ওই ধর্ষণের মামলাগুলির তদন্ত হবে আইপিএস (IPS) দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে। এই মুহূর্তে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল সিপি পদে রয়েছেন দময়ন্তী সেন। মাটিয়া, ইংরেজবাজার, দেগঙ্গা, বাঁশদ্রোণী - এই চারটি মামলার (Case) তদন্তে নজরদারি করবেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) স্পেশাল পুলিশ কমিশনার দময়ন্তী সেন। আগামী ২০ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি (Hearing)।


সরব বিচারপতি
রাজ্যের পরিকাঠামো থাকার পরেও কেন বারবার একই ধরণের ঘটনা ঘটেছে? রাজ্যকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। তিনি জানান, আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে। প্রতিটি ঘটনার দিকে আলাদা করে নজর রাখা হচ্ছে। যদি কোনও ঘটনায় আলাদা করে কোনও আলাদা এজেন্সি বা কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তের প্রয়োজন হয় সেটা করা হবে বলে জানান তিনি।


রাজ্যের দাবি
অ্যাডভোকেট জেনারেল (Advocate General) বলেন, 'আমি বাকরুদ্ধ। আগে দিল্লি বা দেশের অন্য জায়গা থেকে এই ধরনের অভিযোগ পাওয়া যেত। এই রাজ্য মহিলাদের জন্য অন্যতম সুরক্ষিত রাজ্য। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছি। '

কী ঘটেছিল মাটিয়ায়?
বসিরহাটের মাটিয়ায় ১১ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। গ্রেফতার হয়েছিল অভিযুক্ত শহর আলি সর্দার ও তাঁর প্রেমিকা। একটি পার্ক থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হয় নাবালিকা। অভিযোগ, বন্ধুর থেকে উপহার আনতে নাবালিকাকে পাঠিয়েছিল মাসতুতো দিদি। উপহার আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ওই নাবালিকা, অভিযোগ পরিবারের। অভিযুক্ত যুবক ও নাবালিকার মাসতুতো দিদিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। 
ওই ঘটনারই আগে-পরে ইংরেজবাজার ও দেগঙ্গাতে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছিল। বারবার নারী নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশ-প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে।


আরও পড়ুন: ভোটার কার্ড ছাড়াই ঢোকার চেষ্টা, বিশপ কলেজের বুথে ভুয়ো ভোটার ধরার দাবি সিপিএম প্রার্থীর