বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: সিপিএমের সমাবেশের আগে পতাকা বাঁধাকে কেন্দ্র করে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষ। এক মহিলা-সহ দু’পক্ষের ৪ জন আহত হন। রবিবার পিংলায় সিপিএমের সমাবেশ রয়েছে। বামেদের অভিযোগ, গতকাল রাতে পতাকা বাঁধার সময় তৃণমূল কর্মীরা বাধা দেন। এই নিয়েই মারামারি হয়। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, মহিলা কর্মীদের নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হন সিপিএম কর্মীরা। তৃৃৃণমূলের তরফে পিংলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।  


পশ্চিম মেদিনীপুরে দুর্নীতি: এবার সমবায় সমিতিতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। আমানতকারীদের একাংশের অভিযোগ, পাটনা কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। পাল্টা দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতা।


নদিয়ায় সংঘর্ষ: পঞ্চায়েত ভোটের আগে নদিয়ার (Nadia Haringhata) হরিণঘাটায় তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদের জেরে সংঘর্ষ (Clash)। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ-সহ বেশ কয়েকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠল অঞ্চল সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে।


হরিণঘাটার ফতেপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা ও এলাকার রাশ দখলে রাখা নিয়ে দুই তৃণমূল নেতার মধ্যে বিবাদ চলছিল। গতকাল রাতে গন্ডগোল চরমে ওঠে। পার্টি অফিসের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। আক্রান্ত হন হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় যায়। তবে এখনও থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি। গোষ্ঠীকোন্দলের কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব।


প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি এমনই হয়, যে শেষ অবধি সংঘর্ষের জেরে চলে গুলি-বোমার লড়াই। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতার ভাই। অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। প্রতিবাদে ইসলামপুর থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। 


গতবছর তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা রোডের নবকলা গ্রাম।নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল পার্টি অফিসের লাইট। এরপরই শুরু হয় লাঠালাঠি। একের পর এক লাঠির বাড়ি। অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল দলীয় অফিসে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল তৃণমূলের পতাকা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা রোডের নবকলা গ্রাম। পরস্পরকে লক্ষ্য করে কাচের বোতলও ছুঁড়েছিল দু’পক্ষ। এই ঘটনায় ৮ জন জখম হয়েছিলেন।