অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: পানীয় জল নিয়ে বিবাদ। মেদিনীপুরে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিন মহিলা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। পাড়ার বিবাদে রাজনৈতিক রং লাগানো হয়েছে, পাল্টা মন্তব্য তৃণমূলের।


রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায়, গুরুতর অভিযোগগুলির তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।তার মধ্যেই ফের ঝরল প্রাণ।পানীয় জল নিয়ে বিবাদের জেরে, বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরে।অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি নিহতের পরিবারের।


নিহতের নাম দেবাশিস শীল।মেদিনীপুর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা তিনি।নিহতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধেয় বাড়ির সামনের কল থেকে পানীয় জল নিতে গেছিলেন বিজেপি কর্মী। কে আগে জল নেবে, তা নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।অভিযোগ, এরপরই কয়েকজন মহিলা তাঁকে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন।স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন স্ত্রীও। এরপর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ৪৭ বছরের দেবাশিসকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।


নিহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী বাসন্তী শীল বলেছেন, আমার স্বামী আগে তৃণমূল করতেন। লোকসভা ভোটের পরে বিজেপিতে ঢুকেছিলেন। প্রতিবেশীরা মাঝে মাঝে হুমকি দিতেন বিজেপি করছেন বলে। তাঁরা তৃণমূলের লোকজন। থানায় অভিযোগ করেছিলেন। তৃণমূলের লোকজন মারধর করে, আমরা বিজেপি করি বলে।


বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তরজা।


পশ্চিম মেদিনীপুর বিজেপি সহ সভাপতি শুভজিৎ রায় বলেছেন, অতীতে একাধিক সময় মৃতের পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।


পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজয় হাজরা বলেছেন, এটি সম্পূর্ণ পাড়াগত বিবাদ। সেই বিবাদের জেরেই খুন হতে হয়েছে দেবাশিসকে। বিজেপি গোটা বিষয়টিকে রাজনৈতিক রং লাগাচ্ছে।


বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগে, তিন মহিলা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল সমর্থক বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।