পশ্চিম মেদিনীপুর: খড়গপুরে (Kharagpur) বিজেপির (BJP) বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ঘিরে গোষ্ঠীকোন্দলের (Inner clash) অভিযোগ। গতকাল খড়গপুরের (Kharagpur) সুভাষপল্লিতে স্থানীয় বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের (Hiran Chatterjee) বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ছিল। অভিযোগ, সেই কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে বিধায়কের অনুগামী হিসেবে পরিচিত বিজেপির (BJP) এক মহিলা কর্মীকে হেনস্থা করা হয়। খড়গপুর উত্তর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি দীপসোনা ঘোষ ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে।  মহিলা কর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন আরও দু’একজন বিজেপি কর্মী। এই ঘটনায় দীপসোনা ঘোষ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে খড়গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও বিজেপি বিধায়ক হিরণের দাবি, এ কাজ দুষ্কৃতীদের। বিজেপির কোনও কর্মী ঘটনায় যুক্ত নন। 


উল্লেখ্য গত অক্টোবরেই শাসকদলে এমন একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের জয়জয়কার। কিন্তু এই অভূতপূর্ব ফলের পরেও সেই জেলায় কোনওমতেই থামছে না শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যার জেরে রাজনৈতিক মঞ্চেই শুধু নয়, বিজয়া সম্মিলনীর আসরেও প্রকট হল দলের অন্দরের ফাটল।  তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে দেখা যায়নি না জেলার ৪ বিধায়ক ও ২ মন্ত্রীকে। তাঁদের মধ্যে আছেন, সামশেরগঞ্জের আমিরুল ইসলাম, সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন, খড়গ্রামের আশিস মার্জিত এবং ২ মন্ত্রী সুব্রত সাহা ও আখরুজ্জামান।


কিন্তু বিজয়া সম্মিলনীতে কেন গেলেন না তাঁরা? এই ব্যাপারে বাকিদের প্রতিক্রিয়া মেলেনি, তবে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সামশেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। তাঁর নিশানায় তৃণমূলের সাংসদ ও দলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান ও তাঁর ভাই জইদুর রহমান। গত ৩০ সেপ্টেম্বর, সামশেরগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী হন খলিলুর রহমানের ভাই জইদুর রহমান। কড়া টক্কর দিলেও জইদুরকে হারিয়ে দেন আমিরুল। এখন ভোট কেটে গেলেও, আমিরুলের গলায় তা নিয়ে বিরোধিতার চড়া সুর শোনা গিয়েছে। 



সামশেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামের এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'খলিলুর রহমান সাহেব এমপি- জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি। তাঁর সহোদর ভাই কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিল। প্রথমে বলা হল যে তিনি ভোটে লড়বেন না শেষে বললেন বোঝাতে পারলাম না। কিন্তু আমরা দেখলাম যে নুর পরিবারের প্রত্যকেটা সদস্য কংগ্রেসের ভোট করল। একটা বাড়ি থেকেই তৃণমূল দলটা পরিচালিত হচ্ছে। সেখানে কংগ্রেসের মিটিং হচ্ছে। কংগ্রেসের সব নেতারা সকাল বিকেলে সেখানে ওঠবোস করত। আজকে যখন বিজয়া সম্মিলনী হল তখন নুর পরিবারের ব্যক্তিগত বাড়িতে যদি অনুষ্ঠান হয় সেখানে কীভাবে যাওয়া যায়?'