বিশ্বজিৎ দাস ও সুমন ঘড়াই, খড়গপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর): দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবিরে বিডিও-র (BDO) সামনে ক্ষোভ প্রকাশ এলাকার বাসিন্দাদের। পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) খড়গপুরের (Kharagpur) সাঁকোয়া অঞ্চলের এই ঘটনায় বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে তৃণমূল আর বিজেপি। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য ২২ জেলায় ২১ জন IAS অফিসারকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal)।
দুয়ারে সরকারে (Duare Sarkar) শিবিরে সাধারণ মানুষের দাবি-দাওয়া, অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য বসে রয়েছেন বিডিও। তাঁকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। হাতজোড় করে তাঁদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন বিডিও।
শনিবার ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে এই ছবি দেখা গেল, পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের সাঁকোয়া অঞ্চলে। কয়েকজন গ্রামবাসীর অভিযোগ, বারবার শিবিরে এসে আবেদন করার পরেও বার্ধক্যভাতা, বিধবাভাতা, এসটি পেনশনের মতো সরকারি সুবিধাগুলি মিলছে না।
খড়গপুরের সাঁকোয়ার বাসিন্দা সুশান কোটালের কথায়, ৭-৮ বছর এসটি পেনশন পেয়েছি। হঠাৎ বন্ধ এক বছর ধরে। বারবার দুয়ারে সরকার প্রকল্পে আবেদন করেছি। আধারও জমা দিয়েছি। আজ পর্যন্ত কিছু হয়নি।
আরও পড়ুন: Arjun Singh: ঝড়ের কাছে নোঙর করার সাধ, তৃণমূলে ফিরছেন অর্জুন! জল্পনা উস্কে দিলেন নিজেই
আরেক বাসিন্দা বিমলকুমার দে বলছেন, বিডিও-কে ঘিরে বিক্ষোভ করছি। কারণ আমরা কোনও পেনশন পাচ্ছি না। মেয়েরা বিধবা ভাতা পাচ্ছেন না। ৪-৫ বার ফর্ম পূররণ করেছি। কোনওবারই সুরাহা হয়নি।
অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও সুদীপ মিশ্রের কথায়, এটা কোনও বিক্ষোভ নয়। সাধারণ মানুষ তাঁদের বক্তব্য আমাকে জানিয়েছেন। কিছু মানুষ কোনও কারণে পরিষেবা পাননি। সেটা আমরা এনকোয়্যারি করে দেখব। আবার অ্যাপ্লাই করতে বলেছি।
খড়গপুর ২ দক্ষিণ মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি নিতাই ভুঁইয়ার কথায়, শুধু শুধু দুয়ারে সরকারের নামে মানুষকে ভাঁওতাবাজি। এই রোদে ৪০-৪২ টেম্পারেচারে লম্বা লাইনে দাঁড় করিয়ে হয়রানি। ৫ বছর আগের শিবিরেরই সুরাহা হয়নি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস চেয়ারম্যান অজিত মাইতি, এলাকাবাসী কথা ভুল। বিক্ষোভ কথাটা ভুল। বিজেপির (BJP) পরিকল্পিত। কিছু কটূক্তি করেছে। ওখানে বিজেপির জিপি। বিজেপির প্রধান কিচ্ছু করেনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সরকারকে হেয় করার চেষ্টা।
গত ২৭ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন। ২১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ফের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি হবে। ওই কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে শুক্রবার একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার। যোগ্য আবেদনকারীরা যাতে দ্রুত সরকারি সুযোগ সুবিধা পান, তা সুনিশ্চিত করতে, রাজ্যে ২১ জন IAS অফিসারকে। কোঅর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে তত্ত্বাবধান ও নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন তাঁরা।