কলকাতা: বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় সঙ্গীরা (Partner) একে অপরের থেকে অনেক দূরে থাকেন। কাজের প্রয়োজনে হোক কিংবা পড়াশোনার কারণে, সম্পর্কে দূরত্বের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সঙ্গীরা একে অপরের থেকে দূরে থাকলে অনেক সময়ই তা সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। দীর্ঘদিন দেখা সাক্ষাৎ না হওয়ার কারণে তাঁদের মনে প্রভাব পড়তে পারে এবং সম্পর্ক স্থাপনে অনীহা দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে মজবুত রাখবেন সম্পর্ক (Relationship)? কীভাবেই বা দূরে থেকেই সঙ্গীর মনের কাছাকাছি থাকবেন? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


সম্পর্ক মজবুত রাখার সহজ উপায়-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একটানা সঙ্গীর থেকে দূরে থাকলে সম্পর্কে অনীহা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে। এমন পরিস্থিতিতে (Distance Relationship) সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। দেখা না হওয়া, সঙ্গীকে স্পর্শ করতে না পারার ফলে সম্পর্কেও কোনও উত্তেজনা অনুভব করেন না বহু মানুষ। এমন পরিস্থিতিতেও উপায় রয়েছে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার।


১. বিশেষজ্ঞদের মতে, দূরে থাকলেও, দেখা সাক্ষাৎ না হলেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার নানা উপায় রয়েছে। আজকের উন্নত প্রযুক্তির যুগে দূরে থেকেও যেন অনেক কাছাকাছি থাকা যায়। দেখা না হলেও প্রতিদিন কথা বলাটা জরুরি। সারাদিনের মাঝে কিছুটা সময় বের করে নিন সঙ্গীর জন্য। যে সময়টা সঙ্গীর সঙ্গে সারাদিনের নানা কথা শেয়ার করুন। সঙ্গীর মনের কথা অনুভব করুন। সারাদিনে একাধিকবার ফোনে কথা বললেও মনের কাছাকাছি থাকা যায় বলে মত তাঁদের।


আরও পড়ুন - Skin Care: ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে না এই খাবারগুলি খেলে


২. আজকের প্রযুক্তির যুগে বিশ্ব যখন হাতের মুঠোয় চলে আসছে, তখন দূরত্বের মাঝেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সহজ। ভিডিও কলের মাধ্যমে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। মনে হবে সঙ্গী যেন কাছেই রয়েছে।


৩. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সঙ্গী দূরে থাকলে সবথেকে বেশি যে সমস্যা তৈরি হয়, তা সন্দেহ। সঙ্গী অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে কিনা, তার একটা অনিশ্চয়তা মনের মধ্যে কাজ করে। তাঁরা বলছেন, দূরে থাকা সঙ্গীর সম্পর্কে এমন ধারণা পোষণ করলে আখেরে লাভের পরিবর্তে ক্ষতিই হবে। তাই সন্দেহের পরিবর্তে সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন।


৪. উপহার পেতে কার না ভালো লাগে। সঙ্গী যতই দূরে থাকুন না কেন, তাঁর জন্য উপহার পাঠাতে ভুললে চলবে না। অপ্রত্যাশিতভাবে উপহার পেলে সঙ্গীর মনও ভালো হয়ে যায়।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।