সোমনাথ দাস, ঘাটাল (পশ্চিম মেদিনীপুর): সাত সকালে পথ দুর্ঘটনায়  আহত হয়েছিল বীর হনুমান। আহত অবস্থায় কাতরাতে দেখে এগিয়েছে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে এসে  স্থানীয় বাসিন্দারা  হনুমানটিকে সুস্থ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেনষ কিন্তু  শেষ রক্ষা হয়নি। বেলা বাড়তেই হনুমানের মৃত্যু হয়।  অবশেষে গ্রামের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে, এক গ্রামবাসী মাথা মুড়িয়ে সামাজিক রীতিনীতি পালন করে হনুমানের শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন।  এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের অজবনগর এলাকায় ।


জানা গিয়েছে, এদিন সকাল নাগাদ ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে অজবনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক পার হচ্ছিল ওই হনুমান।  আর সেই সময় দ্রুত বেগে একটি পণ্যবাহী ট্রাক এসে  ধাক্কা মারলে গুরুতর আহত হয় হনুমানটি।  স্থানীয় মানুষজন চিকিৎসক ডেকে নিয়ে হনুমানের চিকিৎসা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় হনুমানের ।


এরপর গ্রামের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে অর্থ জোগাড় করে সামাজিক প্রথা মেনে হনুমানটিকে সমাধি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এমনকি গ্রামেরই ব্যক্তি, গুণধর ঘটক নিজের মাথা মুড়িয়ে ব্রাহ্মণ ডেকে পুজো আর্চনা করে হনুমানের সমাধি দেযন। অজবনগর গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন,  কয়েক দিনের মধ্যে তাঁরা হনুমানের সমাধি স্থাপন করবেন। 


উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে হুগলিতে  বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত একটি হনুমানকে শুশ্রূষা করে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দিতে পেরেছিলেন এলাকাবাসী। শেওড়াফুলি এলাকায় ঘটনার তিন চারদিন ধরে খাবারের সন্ধানে ঘুরছিল হনুমানের একটি দল। এরইমধ্যে শেওড়াফুলি বিধান পল্লীতে লাফালাফি করার সময়  বিদ্যুৎতের তারে পড়ে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় একটি হনুমান।প্রচন্ড শব্দে রাস্তায় ছিটকে পড়ে হনুমানটি। এলাকার বাসিন্দারা বেরিয়ে এসে দেখেন, ছটফট করছে হনুমানটি। গরম দুধ,জল কলা খেতে দিয়ে প্রাথমিকভাবে সেবা শুশ্রূষা করেন বাসিন্দারা।খবর পেয়ে বৈদ্যবাটি পুরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সুবীর ঘোষ হাজির হন।টোটো ডেকে বিধান পল্লীর বাসিন্দাদের বলেন পশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে। শ্রীরামপুর মাহেশে পশু হাসপাতালে নিয়ে যান বাসিন্দারা। সেখানে চিকিৎসার পর অনেকটাই সুস্থ হয় হনুমানটি।খবর দেওয়া হয় বন দফতরে।বন দফতর খাঁচা নিয়ে এসে হনুমানটিকে নিয়ে যায়।পুরো সুস্থ হয়ে গেলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল বন দফতর।