অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: গোয়ালতোড়ের পর মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ঈশ্বরপুরে মাওবাদীদের নামে পড়ল পোস্টার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। কে বা কারা পোস্টার দিল তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। চাকরির লোভ দেখিয়ে মাওবাদীকে কেনা যাবে না। ওপরে লেখা মাওবাদী জিন্দাবাদ! নীচে শুধু মাওবাদী।
পুজোর মুখে এই পোস্টার ঘিরে জঙ্গলমহলে ফিরল মাওবাদী আতঙ্ক। শনিবার ভোরে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ঈশ্বরপুর এলাকায় এই পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারে আরও লেখা হয়েছে, আদিবাসীদের হেনস্থা করা হচ্ছে কেন? ঘুষ নিয়ে পদ বিক্রি করা হচ্ছে কেন? ঘুষখোর নেতারা জবাব দাও। খবর পেয়ে পোস্টারগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুজো আগে এই পোস্টার ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
মেদিনীপুরের ব্যবসায়ী মৃত্যুঞ্জয় দাস জানিয়েছেন,দোকানের পাশে দেখি পোস্টার সাঁটানো, ভয় পেয়ে যাই, পুলিশকে খবর দিই। চন্দনা মাইতি নামে আরও এক ব্যবসায়ীর কথায়, 'মাওবাদী বলে লেখা ছিল। নতুন করে কেন যে এসব হল, ভয় লাগছে।'
স্থানীয়রা আতঙ্কিত হলেও, ভয়ের কিছু নেই বলে দাবি পুলিশের। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, এরম ঘটনা আগেও হয়েছে, কে করেছে দেখছি, ভয়ের কিছু নেই। মাসখানেক আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে মাওবাদীদের নামে হুমকি পোস্টার পড়ে। পোস্টারে লাল কালিতে লেখা ছিল, চাকরি না দিলে খুন করা হবে! আর এবার লেখা হল, চাকরির লোভ দেখিয়ে মাওবাদীদের কেনা যাবে না।
এর আগে মাওবাদীদের নামাঙ্কিত পোস্টার পড়েছিল পুরুলিয়ার বরাবাজারে। পোস্টারে মানবাজারের মহকুমাশাসক ও এক সরকারি আধিকারিককে হুমকি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মেদিনীপুরে রাস্তার উপর গাছ ফেলার ঘটনায় মাওবাদী স্মৃতি উস্কে দিয়েছে।
ফের জঙ্গলমহলে ছড়ায় মাওবাদী আতঙ্ক। পুরুলিয়ার বরাবাজারে পড়ে মাওবাদীদের নামে দেওয়া পোস্টার। আর মেদিনীপুর-ধেড়ুয়া রাজ্য় সড়কের উপর ফেলা হল গাছের গুঁড়ি। এদিন সকালে মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার বরাবাজারের একাধিক জায়গায় নজরে পড়ে এলাকাবাসীর। পোস্টারে মানবাজারের মহকুমাশাসক ও বরাবাজারের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিককে খুনের হুমকি দেওয়া হয়।
হুমকি পোস্টারের নেপথ্যে কে বা কারা যুক্ত তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে প্রশাসন। এ নিয়ে পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, এটা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে, এর সারবত্তা কী, এখন সরকারি আধিকারিকরা দুয়ারে গিয়ে পরিষেবা দিচ্ছে, কারও কিছু বলার থাকলে সরাসরি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।