অমিত জানা, (বেলদা)পশ্চিম মেদিনীপুর: বিধানসভা ভোটের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই একের পর এক পঞ্চায়েত হাতছাড়া হচ্ছে বিজেপির। এবার সেই তালিকায় যোগ হতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি পঞ্চায়েতও।  তৃণমূলের দখলে যেতে চলেছে বিজেপি পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। বিধায়কের হাত ধরে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের তৃণমূলে যোগদান করলেন। আর এরপরই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলো তৃণমূল।  শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় বিধানসভার বেলদা ৮/১ গ্রাম পঞ্চায়েতে কোমিয়াচক সংসদের বিজেপি টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যা কাকলি পাল দাস যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।


শনিবার দলীয় কার্যালয়ে তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট। প্রসঙ্গত ১৩ জন সদস্য নিয়ে গঠিত বেলদা ৮/১ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির দখলে ছিল ৭ টি আসন আর তৃণমূলের দখলে ছিল ছয়টি আসন । এদিন পঞ্চায়েত সদস্যা কাকলি পাল দাস তৃণমূলে যোগদানের পর ৭-৬  তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হয় এই গ্রাম পঞ্চায়েতে।  শীঘ্রই গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনা হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট।


যোগদানের পর নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কাকলিদেবী বলেন গত সাড়ে তিন বছর ধরে এই গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে থাকলেও কোন উন্নয়নের কাজ হয়নি।সব কাজেই বাধা দিতেন  দলের নেতারা।  আর সেইজন্যই উন্নয়নের স্বার্থে তিনি  তৃণমূলে যোগদান করেছেন।


বিজেপি অবশ্য কটাক্ষ করে বলেছে, ভুল বুঝিয়ে তাদের ওই পঞ্চায়েত সদস্যর দলবদল করানো হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।


উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে  তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের কার্যত হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের অনেক নেতা কর্মীই। ভোটের পর উলট পুরান। এখন অনেক নেতাই তৃণমূলে ফিরে আসতে চেয়েছেন। কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।  পঞ্চায়েত স্তরেও দলবদলের প্রভাব পড়েছে। বেশ কিছু পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি দলবদলের ফলে তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ-রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই এই ধারা দেখা যাচ্ছে। সেই ধারাতেই যোগ হল বেলদার ওই পঞ্চায়েতও।