অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্মেলন শেষ হতেই পুড়িয়ে দেওয়া হল মঞ্চ। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হল মঞ্চ! সিপিএমের পতাকা ও পোডিয়াম পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। গতকাল গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে।সিপিএমের দাবি, দুটি বুথেই পঞ্চায়েত ভোটে তারা জয়ী হয়।সেই আক্রোশ থেকেই হামলার অভিযোগ। হামলা-যোগ অস্বীকার করে শাসকদলের দাবি, সিপিএমের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। 


মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে কাস্তে-হাতুড়ি-তারা চিহ্নের পতাকা। কোনওটা আধপোড়া, কোনওটার শতছিন্ন অবস্থা!ধুলোমাখা সিপিএমের পতাকার পাশেই উড়ছে তৃণমূলের ঝান্ডা!অভিযোগ, মঙ্গলবার সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্মেলন শেষেই, পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বামেদের মঞ্চ। শহিদ বেদিতে লাগানো সিপিএমের পতাকাও জলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 


পশ্চিম মেদিনীপুর হাতিগেড়িয়া সিপিএমের এরিয়া কমিটি  সম্পাদক গৌতম রায় বলেন, গতকাল এখানে আমাদের সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্মেলন ছিল। আমাদের জেলা আর রাজ্যের নেতারা ছিলেন।এখানে যাঁরা তৃণমূলীরা, তাঁরা ক্ষুব্ধ আমাদের ওপর। কারণ এখানে আমরা পঞ্চায়েতে জিতি। হাতিগেড়িয়াতেও পঞ্চায়েতে জিতি। তাই তাঁরা একেবারে হিংস্র হয়ে রাতের বেলা আমাদের পার্টি অফিস ভেঙেছে। আমাদের ঝান্ডা নামিয়েছে, পুড়িয়ে ফেলে দিয়েছে।আমাদের শহিদ বেদিতেও পতাকা নামিয়েছে। সিপিএমের দাবি,  কেশিয়াড়ির দুধেবুধে ও হাতিগেড়িয়া,  এই দুটি বুথেই পঞ্চায়েত ভোটে তারা জয়ী হয়। সেই আক্রোশ থেকেই সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্মেলন শেষে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ।


যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের অন্তর্দ্বন্দ্বের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিম মেদিনীপুর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভানেত্রী মামনি মাণ্ডি বলেন,  এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেস কখনও সিপিএমের পার্টি অফিসে ভাঙচুর করতে যাবে না। তাঁদের নিজেদের মধ্যে লড়াই লেগেছে। কালকে আমরা শুনেছিলাম এই দুধে-বুথে বুথে তাঁদের একটা সম্মেলন না কী ছিল। নিজেদের মধ্যে মারপিট করে হয়ত এই ভাঙচুরটা নিজেরাই করেছে। দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপ, শাসক-বিরোধী শিবিরের মধ্যে ঘটনা ঘিরে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।কিন্তু হামলা চালাল কারা? এলাকার সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কেশিয়াড়ি থানা।


 আরও পড়ুন, অবশেষে মানল বাংলাদেশ সরকার ! 'সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে হিংসা হয়েছে..'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।