সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ 'ইস্তফা' নয়, 'অপসারণ' করা হয়েছে কৃষ্ণেন্দু বিষইকে। এদিকে রাজ্যজুড়ে শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন কৃষ্ণেন্দু বিষয়ী। গতকাল নিজেই সোশ্যালমিডিয়ায় পোস্ট করে পদত্যাগের কথা জানান। ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ বলে দাবি কৃষ্ণেন্দু বিষয়ীর। যদিও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদে 'ইস্তফা ঘোষণা ' ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক। আর এমনই সময় কৃষ্ণেন্দু বিষয়ীর দাবিতে জল ঢেলে প্রকাশ্যে এল সরকারি চিঠি।
আরও পড়ুন,
'বিয়ে করেছিলাম, খুন নয়', যাদবপুরের মহিলার রহস্যমৃত্যুতে আটক হতেই বিস্ফোরক সঙ্গী
প্রসঙ্গত, সদ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। প্রথমে ধোঁয়াশা থাকলেও পরে জানা যায়, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের বিতর্কের মাঝেই সদ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসরণ করা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। এদিকে এই খবরের মাঝেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফার খবর ঘোষণা করলেন কৃষ্ণেন্দু বিষয়ী। রবিবার নিজেই ফেসবুক পোস্ট করে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে প্রকৃত কারণ না জানালেও ব্যক্তিগত বলেই আপাতত ঘোষণা করেছেন তিনি। এদিকে কৃষ্ণেন্দু বিষয়ী ইস্তফা নয়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদ থেকে কৃষ্ণেন্দু বিষইকে অপসারণ করা হয়েছে বলেই প্রথম থেকেই চাপানোউতোর ছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে এদিন বেলা ১১ টা পেরোতোই সেই সন্দেহই সত্যি হল। জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে কৃষ্ণেন্দু বিষইকে অপরসারণ করা হয়েছে।
বিজেপির কটাক্ষ, আগামীদিনে গা ঢাকা দিতে পারেন পদত্যাগী আধিকারিক। পদত্যাগ নাকি অপসারণ, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে বলে বিজেপির দাবি। কারণ না জেনে, মন্তব্যে নারাজ তৃণমূল। তবে শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে, সোমবার বেলা পেরোতেই কৃষ্ণেন্দু বিষইর দাবিকে ভূল প্রমাণ করে প্রকাশ্যে এল, তাঁকে অপরসারণ করার খবর।