অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: শহরে জোড়া শ্যুটআউটকাণ্ডে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হল প্রচুর অস্ত্র। কুখ্যাত দুষ্কৃতী মোটা রাজা ওরফে সুমন সিংয়ের তিন শাগরেদকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জোড়া শ্যুটআউটকাণ্ডে এ নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪। গতকাল রাতে মোটা রাজাকে নিয়েই তল্লাশি চালায় পুলিশ। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হয় অস্ত্র। তোলা আদায়ের জন্যই গুলি চলে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। 


মেদিনীপুর শহরে জোড়া শ্যুটআউট কার্যত আতঙ্ক ছড়ায় শহরবাসীর মধ্যে। দু’জায়গায় চলে গুলি। তখনই এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ এদিন রাত ৮ টা নাগাদ যমুনাবালি এলাকায় একটি ধাবায় ঢুকে ১ লক্ষ টাকা তোলা চায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। ধাবার মালিক না থাকায় এক কর্মচারীকে মারধর করে শূন্যে ২ রাউন্ড গুলি চালায় তারা। হোটেলের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে গোটা ঘটনা।


অভিযোগ, এর পর মেদিনীপুর শহরের মহতাবপুর এলাকায় পদ্মাবতী শ্মশানঘাটে চড়াও হয়ে দুষ্কৃতীরা এক শ্মশানযাত্রীর বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে টাকা চায়। লোক জড়ো হওয়ায় শূন্যে এক রাউন্ড গুলি ছুড়ে তারা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মেদিনীপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী মোটা রাজার হাত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। তোলা আদায়ের জন্যই হামলা কি না, খতিয়ে দেখা শুরু করে পুলিশ।


এর আগে গত ১৪ অগাস্ট গভীর রাতে খড়দায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন করা হয়। মৃত রণজয় শ্রীবাস্তব ব্যারাকপুর লোকসভায় তৃণমূলের হিন্দি সংগঠনের সম্পাদক ছিলেন। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে খড়দা থানার পুলিশ। টিটাগড় পুরসভার প্রশাসক ও তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরীর অভিযোগ, খুনের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।


হুমকি দেওয়া হয়। গালিগালাজ করা হয়।  এর কিছুক্ষণ পর খড়দার বড়পট্টি এলাকায় তাঁদের গাড়ি পৌঁছতেই বাইক রেখে রাস্তা আটকায় দুষ্কৃতীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কি চলাকালীন গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়।


এর পর গাড়ি থেকে নেমে পালানোর সময় তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল নেতার গলার নিচে গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ব্যারাকপুরের বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এরপর কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তৃণমূল নেতাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।