রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: পুলিশের (police) বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে তুলকালাম মুর্শিদাবাদে (murshidabad)। থানা ঘেরাও তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) হুমায়ুন কবীরের (humayun kabir)। ওসির অপসারণ চেয়ে চড়াও হওয়ার অভিযোগ শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে। 

কী অভিযোগ?ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অভিযোগ,' উনি (ভরতপুর থানার ওসি) পয়সার বিনিময়ে অনেক কাজ করেন। আমাদের কাছে বহু প্রমাণ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিক বলে এত দিন পর্যন্ত আমরা এটা বরদাস্ত করেছি।' তাঁর দাবি, পুকুর, খালে-বিলের রায়ত না বদলে কোনও নির্মাণ করা যায় না। কিন্তু ওসি তাঁর গায়ের জোরে সেই কাজই করছিলেন, অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের। হুমায়ুনের কথায়, 'উনি ছুটিতে ছিলেন। আজই বেলা ১০টায় কাজে পুনরায় যোগ দেন। আর বিকেল থেকে ৫০ জন শ্রমিককে নিয়ে, জেসিবি নিয়ে, পুকুরের উপর পাঁচিল দিতে শুরু করেন। স্থানীয় ব্লক সভাপতি  ফোন করলে তাঁর ফোন তোলেননি। আমি বিধায়ক। আমাকেও জানাননি। এখানে তৃণমূলকে উনি ওসি-র ক্ষমতা দেখাচ্ছেন। দেড় বছরে ওঁর অনেক ক্ষমতা দেখেছি।' শাসকদলের বিধায়কের স্পষ্ট দাবি, ভরতপুর থানার ওসি রাজু মুখোপাধ্যায়কে যত ক্ষণ পর্যন্ত এই থানা থেকে সরানো না হবে তত ক্ষণ থানার সামনে এই বাধা দান চলবে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রত্যেক প্রতিনিধি, তৃণমূলের সর্বস্তরের কর্মীরা এতে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন, আরও দাবি হুমায়ুন কবীরের।

পাল্টা দাবি পুলিশের...জেলা পুলিশ অবশ্য তৃণমূলের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, এই জমি জবরদখল করা ছিল। এবং সেটা সরকারি আমিন দিয়ে মাপজোখের পরই নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত হয়। এর পরের পর্যায়েউ থানার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য মাটি ফেলা শুরু হয়। কিন্তু বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সন্ধের দিকে পৌঁছন হুমায়ুন কবীর। রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে আলোচনা চলে। উল্লেখ্য, এর আগেও হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে থানার ওসি-র ঝামেলা হয়েছে বলে খবর। জেলা পুলিশের উচ্চতর আধিকারিকদের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু কোনও ন্যায়বিচার পাওয়া যায়নি।এবার তাই ন্যায়বিচারের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন তিনি। সঙ্গে একাধিক তৃণমূল কর্মী। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ হেনেছে বিজেপি শিবির। 

আরও পড়ুন:নভেম্বর পর্যন্ত ভোগাবে ডেঙ্গি প্রকোপ ? বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক স্বাস্থ্য সচিবের