কলকাতা: ছিল চাষের জমি, হয়ে গেল জলাশয়। কথা ছিল গাড়ি কারখানা হবে। এরপর না হয়েছে শিল্প, না হচ্ছে চাষ আবাদ। সিঙ্গুরের (Singur) চাষের জমিতে এবার জলাশয়ে খেলতে দেখা গেল মাছ। সিঙ্গুরে কৃষি নেই, রাজ্য সরকারেরই (West Bengal) জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরের প্রকল্পে তৈরি করা হয়েছে জলাশয়।


চাষের জমিতে এবার জলাশয়ে চরতে দেখা গেল মাছ: কথা ছিল শিল্প হবে, কারখানা হবে। কথা ছিল সিঙ্গুর পথ দেখাবে। কথা ছিল সোনার দিন আসবে। কিন্তু কোথায় কী? এবার, টাটাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ ঘিরে,যখন ফের একবার নতুন করে শিরোনামে উঠে এল সিঙ্গুর। তখনই, আরও একবার ধরা পড়ল 'সব হারানো' সিঙ্গুরের আরেক ছবি। সিঙ্গুরের বাসিন্দা বনমালী মাইতি। অন্য অনেক ইচ্ছুক কৃষকদের মতো ,টাটার কারখানার জন্য জমি দিয়েছিলেন তিনিও।

কারখানা না হওয়ায়, আদালতের নির্দেশে শেষে জমি ফেরত পান। কিন্তু, কংক্রিট মিশে থাকা জমিতে, তারপর আর ফসল ফলাতে পারেননি। তাঁর জমিতেই এখন জলাশয়। খেলে বেড়ায় মাছ। জমির মালিক বনমালী মাইতি বলেন, “এটা আমারই জমি তো। আমরা তখন জমি দিয়ে দিয়েছিলাম। তখন শিল্প হোক আমরা চেয়েছিলাম। পরিস্থিতি বলতে, এখন যে হয়েছে এইটা এই পুকুর করে দিয়েছি। পুকুর করে দিয়েছে সরকার থেকে আমাকে এটা করে দিয়েছে।’’          


এই জলাশয় অবশ্য় যে সে জলাশয় নয়, রীতিমতো রাজ্য সরকারেরই প্রকল্পের অধীন। খাতায় কলমে এর নাম ওয়াটার ডিটেনশন স্ট্রাকচার। রাজ্য সরকারের জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতরের অধীনে এই প্রকল্প। এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য মাছ চাষ, বৃক্ষরোপণ ও সব্জিচাষ। আশপাশের কৃষি এলাকায় জল সরবরাহ করতেও কাজে আসে এই জলাশয়সব হারানো এই সিঙ্গুরের মাটিতেই ১১ একর জমিতে অ্যাগ্রো পার্ক তৈরি হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “সিঙ্গুরে আমরা অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট ইন্ডাস্ট্রি হতে পারে। ১১ একর জমিতে গড়ে তোলা হবে। ব্যবসায়ীদের বলছি, যাতে ইন্টারেস্ট পায়, সেজন্য নানা সুযোগ সুবিধা থাকবে। স্টেশন ও ট্রমা কেয়ার ইউনিটের সংলগ্ন জমি।’’কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, চিহ্নিত করা সেই জমিতে এখনও পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি কোনও অ্য়াগ্রো পার্ক।       


আরও পড়ুন: Ration Scam: কম রেশন দিয়ে পাচার বাংলাদেশে! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সীমান্তের বাসিন্দাদের