কলকাতা: চাকরির দাবিতে একজোট হয়ে একমাসের ব্যবধানে ফের রাস্তায় নামলেন চাকরিপ্রার্থীরা (Job Seekers Agitation)। শিয়ালদা (Sealdah), হাওড়া (Howrah), কলেজ স্কোয়ার (College Square) থেকে চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠনের মিছিল গেল ধর্মতলায়। তবে চাকরির প্যানেলে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা এদিনের কর্মসূচিতে অংশ নেননি।                                                                                                                                                                      


ফের রাস্তায় নামলেন চাকরিপ্রার্থীরা: কারও মুখে নিয়োগের দাবিতে স্লোগান। কেউ আবার সদ্য প্রয়াত বাবার ছবি বুকে করেই বেরিয়েছেন আন্দোলনে। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কোথাও আবার তাঁর মতো সেজেই পথে নামলেন চাকরিপ্রার্থী। চাকরির দাবিতে একজোট হয়ে বুধবার রাস্তায় মহানগরের রাজপথে নামল ২০১৪ সালের প্রাথমিক, SSC গ্রুপ C, গ্রুপ D, SLST-সহ চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার, ২০০৯ সালের প্রাথমিকের যে চাকরিপ্রার্থীদের নাম প্য়ানেলে ছিল না, তাঁরাও অংশ নেন এই কর্মসূচিতে। হাওড়া, কলেজ স্কোয়ার, শিয়ালদা, ৩ জায়গা থেকে মিছিল শুরু হলেও অভিমুখ ছিল একটাই, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের সভামঞ্চ।

দিনের পর দিন বসে থেকেছেন খোলা আকাশের নিচে। দাবি থেকে অনুরোধ-উপরোধেও মেলেনি হকের চাকরি। এবার নিয়োগের দাবিতে শহরের রাজপথে হাঁটলেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলের জেরে দিনের ব্যস্ত সময়ে হাওড়া ব্রিজে প্রায় একঘণ্টা শ্লথ হয়ে যায় শহরের গাড়ির গতি। হাওড়া ব্রিজে তৈরি হয় ব্যাপক যানজট। মিছিল শেষে রানি রাসমনিতে সভায় যোগ দেন আন্দোলনকারীরা। চাকরিপ্রার্থীদের সমর্থনে সভায় যোগ দেন শিক্ষাবিদ মীরতুন নাহার, চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিও। এর আগে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর, হাইকোর্টের সম্মতিতে কলকাতায় মহামিছিল করে চাকরিপ্রার্থীদের ৯টি সংগঠনের জোট। এক মাস পর ফের পথে নামলেন চাকরিপ্রার্থীরা। হকের চাকরি পাওয়ার জন্য আর কত অপেক্ষা? আকুল প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের।                                                                                         


আরও পড়ুন: Bankura:'আপনাদের জিতিয়েছি, চাইলে হারিয়েও দিতে পারি,' দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের মুখে জয়প্রকাশ