কলকাতা: ৫০ জন যে ব্রিজে ওঠার কথা সেখানে ৪০০ জন উঠে লাফালাফি করছেন। দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি হবে। পোস্তা ব্রিজ যে ভেঙেছে, তা শাস্তি কে পেয়েছে? গুজরাতে সেতুভঙ্গ নিয়ে প্রতিক্রিয়া সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। 


গুজরাত বিধানসভার আগে মোরবিতে ব্রিজ বিপর্যয়ে মৃত্যুমিছিল। যাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে চরম রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের প্রশ্ন, ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই কীভাবে খুলে দেওয়া হল এই সেতু? উঠেছে সিবিআই তদন্তের দাবি। তৃণমূলের (TMC) কটাক্ষ, বাংলা থেকে বিজেপি নেতাদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠানো হোক! পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা কেন্দ্রের।


সামনেই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘটে গেল প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যে! মেরামতির ৪ দিনের মাথায় গুজরাতের মোরবিতে মাচ্ছু নদীর ওপর ভেঙে পড়ল কেবল ব্রিজ! আর এই বিপর্যয় নেমে এল প্রধানমন্ত্রীর গুজরাত সফরের মধ্যেই। মৃত্যু হল অনেকের বিপর্যয়ের পরপরই প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করেন,মৌরবিতে যে বিপর্যয় ঘটেছে, তাতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল-সহ অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। পুরোদমে চলছে উদ্ধার কাজ। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ট্যুইটারে দুঃখপ্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। সেতু বিপর্যয়কাণ্ডে শোকপ্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করেন, গুজরাতের মোরবিতে মর্মান্তিক ব্রিজ দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দুর্ঘটনায় অনেকের প্রাণ গিয়েছে, অনেকে নিখোঁজ। নিহতদের পরিবার ও পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। 


কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ট্যুইটে লেখেন, গুজরাতের মোরবিতে সেতু বিপর্যয়ের খবর ভীষণ দুঃখজনক। এই কঠিন সময়ে শোকাতুর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। কংগ্রেসের সমস্ত কর্মীদের অনুরোধ, তাঁরা যেন যথাসাধ্য ভাবে দুর্ঘটনায় আহতদের পাশে থাকেন। নিখোঁজদের উদ্ধার করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।


যদিও গুজরাত নির্বাচনের মুখে সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় তোলপাড় দেশের রাজনীতি। প্রশ্ন উঠছে,সেতু বিপর্যয়ের দায় কার? ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই কার নির্দেশে খোলা হল ব্রিজ? পুরনো এই সেতুর ভারবহন ক্ষমতা যত, তার চেয়ে বেশি লোক উঠল কী করে? সেতুতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা কেন করা হয়নি?


সামনে এসেছে দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তের একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একসঙ্গে অনেকে উঠে পড়েছেন ওই কেবল ব্রিজের ওপরে বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটে ফায়দা তুলতেই তড়িঘড়ি সেতু খুলে দিয়ে বিপদ ডেকে এনেছে সে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি। বিজেপির পাল্টা আক্রমণ, সেতু বিপর্যয় নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করতে চাইছে বিরোধীরা। মোরবি সেতু বিপর্যয়ের পরে, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। রবিবার রাতেই ঘটনাস্থলে যান গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল।