কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: রাজ্য়পালের (Governor) সঙ্গে সংঘাতের আবহে উপাচার্যদের এড়িয়ে রেজিস্ট্রারদের বৈঠকে ডেকেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী (Education Bratya Basu)। কিন্তু, শুক্রবার ব্রাত্য় বসুর ডাকা বৈঠকে এলেন অর্ধেকেরও কম সংখ্য়ক রেজিস্ট্রার। সূত্রের খবর, যাঁরা বৈঠকে আসেননি, তাঁদের গরহাজিরার কারণ জানাতে বলে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অন্য়দিকে, এই অনুপস্থিতি নিয়ে চাঞ্চল্য়কর দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।


অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য় সরকারের সঙ্গে রাজ্য়পালের সংঘাত চলছেই। এই আবহে শুক্রবার রাজ্য়পাল যখন রাজভবন-নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়ে গঙ্গাপুজোয় অংশ নিলেন, তখন উপাচার্যদের এড়িয়ে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রারদের নিয়ে বৈঠক করলেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে ৩১ টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রারকে ডাকা হলেও অংশ নেন তার অর্ধেকেরও কম, মাত্র ১২ জন। অনুপস্থিত থাকেন ১৯ জন রেজিস্ট্রার। কলকাতা,প্রেসিডেন্সি,রবীন্দ্রভারতী,বর্ধমান গৌড়বঙ্গ , ম্য়াকাউটের মতো বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রাররাও বৈঠকে আসেননি।


ইতিমধ্য়ে গরহাজিরার কারণ জানাতে বলে, রেজিস্ট্রারদের চিঠি পাঠানো শুরু হয়ে গেছে। শুক্রবার তাঁর পৌরহিত্য়ে বৈঠকে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রারের গরহাজিরা নিয়ে চাঞ্চল্য়কর দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসু বলেন, “মেসেজ আছে, রাজভবন থেকে বারণ করা হয়েছে। যাতে না যায়। হাড় হিম করা সন্ত্রাস কে তৈরি করছে।’’

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক নিয়ে চাঞ্চল্য়কর দাবি করেছিলেন রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোসও। তিনি বলেছিলেন, “আপনারা জানতে পারবেন, কেন সরকার মনোনীত উপাচার্যকে নিয়োগ করিনি? এটাই হল সত্য, কেউ ছিলেন দুর্নীতিগ্রস্ত, কেউ ছাত্রীকে হেনস্থা করেছেন, কেউ রাজনীতির খেলা খেলেছেন। এটা খুব দুঃহজনক, যে পাঁচজন উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। কেন কেন কেন? তাঁরা আমাকে বলেছেন, তাঁদেরকে জীবনের হুমকি দিয়েছে। গুন্ডারা তাঁদের হুমকি দিয়েছে। শিক্ষা দফতর তাঁদের ভয় দেখিয়েছে। সিনিয়র IAS অফিসাররা তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন।’’


বোস-ব্রাত্য সংঘাত চরমে পৌঁছে গিয়েছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী (Bratya Basu) বলেন, 'রাজভবন থেকে মেসেজ করে নিষেধ করা হয়েছে রেজিস্ট্রারদের। হাড়হিম করা ঠান্ডা সন্ত্রাস কে তৈরি করছে?’ রাজ্যপালকে ফের বাছাই বিশেষণে বিদ্ধ করলেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্যর কথায়, 'ভেবেছিলাম খিলজি সম, আসলে মহম্মদ বিন তুঘলক। উনিই বিচারক, উনিই ফাঁসুড়ে, পুতুল খেলা খেলছেন।' ‘সিপিএম আমল হলে ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়েই সন্তোষ ভট্টাচার্য হতেন। ভাঙচুর হত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে, মুখ্যমন্ত্রী ধৈর্য দেখাচ্ছেন।'


আরও পড়ুন: G20 Summit: 'যোগাযোগ ও বাণিজ্য় নিয়ে আলোচনা,' রাজধানীতে মোদি-হাসিনা সাক্ষাৎ