কলকাতা: '২৯ মার্চ শহিদ মিনারে অভিষেকের সভাস্থল পরিষ্কারের টেন্ডার পূর্ত দফতর কেন ডাকল?' প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তৃণমূল নেত্রীর ধর্নামঞ্চ তৈরিতেও পূর্ত দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর। নথি ট্যুইট করে এদিন তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  'পিসি ও ভাইপোকে' ফেললেন প্রশ্নের কাঠগড়ায়।


ট্য়ুইটে এদিন তিনি বলেছেন, 'মাঠ পরিষ্কার করে দেবেন বলে ভাইপোর উকিল বিচারপতিকে আশ্বস্ত করেন। তারপরেও কেন পূর্ত দফতর সভাস্থল পরিষ্কারের টেন্ডার ডাকল? পশ্চিমবঙ্গে কি সংবিধানসম্মত সরকার চলছে নাকি পিসি-ভাইপোর জমিদারি? পূর্ত দফতর কি কোনও রাজনৈতিক দলের সভায় অর্থ ব্যয় করতে পারে? সরকারি টাকা মানুষের উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে নাকি পিসি-ভাইপোর খেয়ালখুশি মতো ব্যবহৃত হবে? চাকরি বিক্রি, কয়লা, গরু, বালিপাচারের টাকা কম পড়েছে? সরকারি কোষাগারের দিকে নজর কেন?'  যদিও, বিরোধী দলনেতাকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। 'নন্দীগ্রামেই ঘর সামলাতে পারছেন না বিরোধী দলনেতা', তাই নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন, খোঁচা কুণাল ঘোষের।






প্রসঙ্গত, অভিষেকের সভা নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। একই দিনে একই জায়গায় সভা নিয়ে সেসময় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ডিএ আন্দোলনকারীরা। যদিও শেষ অবধি শর্ত সাপেক্ষ দুতরফেই সভার অনুমতি পায়। সেদিনের সভায় বঙ্গ বিজেপিকে জোর আক্রমণ করেছিলেন তিনি। তারপর মাস পড়তেই একের পর এক সভায় পাল্টা নিশানা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর।


অপরদিকে, এদিন আলিপুরদুয়ারের সভায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন অভিষেক। মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছেন, ১ মাস পর, ৫০ হাজার লোক নিয়ে, ১ কোটি চিঠি নিয়ে দিল্লি যাব। ক্ষমতা থাকলে আটকাক। প্রধানমন্ত্রী আর গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর দফতরে পৌঁছে দেব। ক্ষমতা থাকলে ফেলুক।'


আরও পড়ুন,'পুলিশ না থাকলে TMC-কে খুঁজে পাওয়া যাবে না', ফের শুভেন্দুর নিশানায় মমতা


প্রসঙ্গত, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েত ভোটকে সেমিফাইনাল হিসেবে দেখছেন পর্যবেক্ষকরা। রাজনৈতিক দলগুলিও পঞ্চায়েত শনিবার আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে আরও একধাপ এগিয়ে একশো দিনের টাকা আদায়ে দিল্লি স্তব্ধ করার হুঙ্কার ছাড়েন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।বিজেপির স্থানীয় নেতাদের ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।এনিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, 'দিল্লি পুলিশের লাঠি ৬ ফুট লম্বা। দিল্লি পুলিশ কেজরিওয়াল চালায় না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চালায়। যান না পিসিকে নিয়ে।'