আশাবুল হোসেন ও দীপক ঘোষ, কলকাতা: PWD’র এত বেশি খাঁই কেন? আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে এভাবেই PWD’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্দেশ দিলেন, PWD’র কাজ কমিয়ে অন্য সরকারি সংস্থাগুলিকে কাজ দিতে। এ’নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
PWD’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর: পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে পূর্ত দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। বললেন, PWD’র কাজ কমিয়ে অন্য সরকারি সংস্থাগুলিকে কাজ দিতে। বিদ্যাসাগরের জন্মভিটে বীরসিংহ গ্রামে দুটি গেট ও একটি কমিউনিটি সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ’নিয়ে ইতিমধ্যেই ডিটেলড প্রোজেক্ট রিপোর্ট বা DPR জমা দিয়েছে পূর্ত দফতর। সেখানে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৩২ কোটি টাকা। এ’নিয়েই এদিন ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, "PWD’র এত বেশি খাঁই কেন? কোনও কিছু করতে চায় না। আর করতে গেলে এমন বাজেট ধরবে, প্রথমে ৫ টাকা ধরবে। একবছর বাদে সেটা রিকাস্ট করে বলবে ১৫ টাকা। এই অভ্যাসটা বন্ধ করো।''
প্রশাসনিক সভায় এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রেশমি কমল বলেন, DPR অনেক দিন আগেই সাবমিট হয়ে গেছে ম্যাডাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সাবমিট হওয়ার পর আটকে রেখেছে, নিশ্চয়ই DPR’এ টাকা বাড়িয়েছে বেশি। কত টাকা দিয়েছে?’’’ জেলাশাসক উত্তর দেন ৩২ কোটি। দুটো গেট আর একটা কমিউনিটি সেন্টার। মুখ্যমন্ত্রী ফের প্রশ্ন করেন, “৩০-৪০ কোটি লাগবে?’’ জেলাশাসক জানান, “৩২ কোটি মতো।‘’ পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “পাগল না কি?’’
রীতিমতো ক্ষোভের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২ কোটি, ২ কোটি আর ৪ কোটি। ৬ কোটির মধ্যে সব হবে। কোনও দরকার নেই পিডব্লুডি-র। তুমি হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টে দেখো ইঞ্জিনিয়াররা বসে আছে। HRBC-র ইঞ্জিনিয়াররা বসে আছে। ওদের কাজে লাগাও। পিডব্লুডি-র থেকে কাজ কাটো। কালীঘাট মোড়ের সামনে অত বড় গেট করে দিয়েছি।কত লেগেছে আমার, ৫০ লক্ষ টাকা লেগেছে। কী শেখাচ্ছে আমায়’’ তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিব শান্তনু বসু বলেন, “আর্কিওলজি এবং হেরিটেজ থেকে ১২-১৪ খানা কাজ আমরা শেষ করছি। এই কাজটা দ্রুত শেষ করে ফেলছি।’’
আরও পড়ুন: North Bengal: উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করার দাবি, বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে শোরগোল