পুরুলিয়া: 'কেন পুরুলিয়ার ছেলেমেয়েরা বঞ্চিত হবে ?' এদিন জনসভা থেকে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'পুরুলিয়ার টাকা কেউ একজন নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নিয়েছিলেন। আমি নিজের উদ্যোগে পুরুলিয়ার ছেলেমেয়ের জন্য ব্যবস্থা করেছি।'
'কেন পুরুলিয়ার ছেলেমেয়েরা বঞ্চিত হবে ?'
মমতা এদিন বলেন, রাজ্যে ৪০ শতাংশ বেকারের সংখ্যা কম হয়েছে। রাজ্যে ১০ হাজার জব কার্ড হোল্ডারদের কাজ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, 'বাংলায় নতুন করে প্রায় ৩৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। ৪৬টি নতুন কলেজের কাজ চলছে। ৪৬ টি মাল্টি সুপার হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। আমাদের আমলে প্রায় ১৪ নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়েছে।' প্রসঙ্গত, রাজ্যে এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে শাসকদলের হেভিওয়েটদের। ইস্যুটি গতবছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই হাইকোর্টে গতি পেয়েছে। তদন্তে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও রাজ্যে নতুন করে নিয়োগ কত, এই প্রশ্নটা বারবার উঠে আসছে। যার এখনও অবধি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে চাকরি করছেন, তাঁদের জায়গায় প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীদের কবে নিয়োগ হবে, এই প্রশ্নগুলি অবিরত চাকরি প্রার্থীরা করেই চলেছেন। আর এমন এক আবহে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেন, 'পুরুলিয়ার টাকা কেউ একজন নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নিয়েছিলেন।' স্বাভাবিকভাবেই এই কথা রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের ঝড় তুলেছে।
আরও পড়ুন, 'তৃণমূল কর্মীরা হাত তুললে, হাসপাতালে জায়গা হবে', সুকান্তকে হুঁশিয়ারি তালডাংরার বিধায়কের
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) নিয়ে এবিপি আনন্দর (ABP Ananda) অন্তর্তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্য়কর তথ্য়। দফায় দফায় ৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh)। কিন্তু চাকরি তো মেলেইনি, উল্টে একটা টাকাও ফেরত পাননি। ইডি-র হাতে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা সম্পর্কে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বলাগড়ের বাসিন্দা পিয়ালি চৌধুরী। বাংলায় MA করার পর, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ বলে নিজেকে দাবি করেছেন তিনি। স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিতে ৮ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। তাঁর মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। চাকরি না মেলায়, আড়াই লক্ষ টাকা ফেরত দিলেও, বাউন্স করে ২ লক্ষ টাকার চেক। ধৃত যুব তৃণমূল (TMC) নেতার সম্পর্কে এবিপি আনন্দের কাছে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন এক প্রতারিত চাকরিপ্রার্থীর বাবা।