কলকাতা: হুইপ সত্ত্বেও কেন সংসদে গরহাজির? সাংসদের কাছে জানতে চাইল বিজেপি (BJP)। এক দেশ এক ভোট বিল পেশের সময় লোকসভায় গরহাজিরায় প্রশ্ন করল দল। অনুপস্থিত ২০ সাংসদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার ৪ জন।
জবাব তলব বিজেপির: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে মঙ্গলবার, লোকসভায় পেশ করা হল 'এক দেশ, এক ভোট' বিল। পেশ হলেও আলোচনার জন্য় যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে এই বিল। আর এই বিল পেশের সময় অনুপস্থিত ছিলেন ২০ জন বিজেপি সাংসদ। যার মধ্যে রয়েছে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তনু ঠাকুর, জয়ন্ত রায়, জগন্নাথ সরকাররা। এবিষয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, "নিয়ম মেনেই অনুপস্থিতি নিয়েই জানতে চেয়েছে দল।''
নির্ধারিত সময় মেনেই গতকাল বেলা ১২টা নাগাদ লোকসভায় 'এক দেশ, এক ভোট' বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। বিলটির নাম দেওয়া হয়েছে 'সংবিধান (১২৯তম সংশোধন) বিল ২০২৪' কিন্তু এদিন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বিল পেশ করতেই, চড়া সুরে তার বিরোধিতা করেন কংগ্রেস মণীশ তিওয়ারি। বিলের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল-সহ ইন্ডিয়া জোটের অন্য় দলগুলি।
১৯৫১ সালে প্রথমবার স্বাধীন ভারতে ভোট হয়। সেই সময় লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভায় একসঙ্গে নির্বাচন হয়েছিল। সেই একই নিয়মে ১৯৫৭, ১৯৬২ এবং ১৯৬৭ সালে ভোট হয়। কেবল তৎকালীন উত্তরপ্রদেশে চার দফায় ভোট হয়। ১৯৬৭ সালের পর থেকে ভারতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে থাকে। ১৯৬৮ থেকে বেশ কিছু রাজ্যে সরকারের পতন শুরু হয়। ১৯৭০ সালে ভেঙে যায় লোকসভাও। ফলে ১৯৭১ সালে নতুন করে লোকসভা নির্বাচন করতে হয়। এবার ১৯৬৭ সালের আগের নিয়ম আবার ফিরিয়ে আনতে চাইছে মোদি সরকার। এক দেশ এক ভোট ব্য়বস্থা কার্যকর হলে, সারা দেশে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট হবে।
কিন্তু 'এক দেশ, এক ভোট' বিল পাস করাতে গেলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে মোদি সরকারকে। কারণ এর জন্য় লোকসভা ও রাজ্য়সভা দুই কক্ষেই দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দরকার। লোকসভার ক্ষেত্রে ৩৬২ এবং রাজ্যসভার ক্ষেত্রে ১৫৮। কিন্তু বর্তমানে লোকসভায় NDA-র রয়েছে ২৯৮ ও রাজ্যসভায় রয়েছে ১৩৫। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার যদি মনে করে লোকসভা এবং বিধানসভার সঙ্গে পঞ্চায়েত এবং পুরসভার মতো স্থানীয় ভোটও করাবে, তাহলে ৫০ শতাংশ অর্থাৎ দেশের অর্ধেক রাজ্য সরকারের সমর্থন প্রয়োজন। এদিন বিল পেশের সময় বিরোধী পক্ষের তরফে ‘ডিভিশনের’ দাবি করা হয়। তা মেনে ভোটাভুটি হল লোকসভায়। বিলের পক্ষে ভোট দেন সরকার পক্ষের ২৬৯ জন সাংসদ। বিপক্ষে ১৯৮ জন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Road Repair Controversy: হাত দিলেই উঠছে পিচের চাঙড়, রাস্তা তৈরির মাঝেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ হুগলিতে