দুর্গাপুর: আবারও খবরের শিরোনামে মদন মিত্র (Madan Mitra)। শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া বার্তার পরেও ফের বিস্ফোরক মদন। ‘ফেসবুকে সুব্রত বক্সী (Subrata Baksy) লিখেছেন মমতা ছাড়া কারও ছবি নয়। মমতা ছাড়া আর কারও ছবি থাকবে না কেন? যারা যুব তৃণমূল করে, তারা তো অভিষেকের ছবি দেবেই। প্রতি মুহূর্তে দলে এত পরিবর্তন হচ্ছে।' দুর্গাপুরে দলীয় কর্মসূচিতে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মদন মিত্র।
এদিন, কর্মসূচিতে সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, 'আমি ফ্রি থাকলে শেলি, কিটস, রবীন্দ্রনাথ, শরত্চন্দ্রের লেখা পড়ি। আমি সৌগত রায়ের লেখা পড়ি না। আমার অভিষেকের মুখ ভাল লাগে। দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর অভিষেকের মুখই ভাল। বাকিরা কেউ গোটা, কেউ মোটা, কেউ সোঁটা, কেউ সরু।'
পুরভোটে (Municipal Election) তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী তালিকা (Candidate List) নিয়ে অভূতপূর্ব বিক্ষোভের আবহেই প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা মদন মিত্র (Madan Mitra) ও সৌগত রায়ের (Saugata Roy) দ্বন্দ্ব। কামারহাটিতে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ। তার জেরেই তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে লাগাতার নিশানা করে চলেছেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
এর আগে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক দলীয় বিধায়ককে আক্রমণ করে বলেন, ‘একজন নেতা, বার বার এখানে এক কথা বলেন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গিয়ে ভুল বোঝান। কর্মীদের সঙ্গে কুকুরের মতো ব্যবহার করেন আর শুধু লুঙ্গি পরে বসে বসে কাজু খান, কাবাব খান।’
পরিস্থিতি এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মদন মিত্র ফেসবুক লাইভ করে ঘোষণা করেছেন, পুরসভা নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদের কোনওরকম সাহায্যই নেবেন না! তাঁর বক্তব্য, ‘কথা দিচ্ছি, আমার যে পোস্টার হবে, তাতে একটা পয়সাও আমার পশ্চিমবঙ্গ পার্টিকে খরচ করতে হবে না। এমপি সাহেবকেও না। উনি করেনও না, দেনও না। নেন কি না জানি না। ওঁকে করতে হবে না। সৌগত রায়ের কথা বলছি। এই ৩১টি ওয়ার্ডে কামারহাটির ভোটার লিস্ট আমি ছেপে দেব। পোস্টার-ব্যানার যা খরচ হবে, আমি করে দেব। চুরি করি, ডাকাতি করি আমার ব্যাপার।’
পাল্টা সৌগত রায় বলেছেন, ‘যে সব নোংরা জঘন্য কথা বলছে, তার জবাব দিতে রুচিতে বাধে। কেউ গালাগাল দিয়ে, নোংরা কথা বলে, আমাকে রাজনীতি থেকে সরাতে পারবে না। ফলে ৬৫-৬৬ থেকে একটানা রাজনীতি করতে পারতাম না, কংগ্রেস, সিপিএম, নকশাল, সব আমলই দেখেছি। এই আমলটাও দেখে যাব। যতক্ষণ রাজনীতিতে আছি, মাথা উঁচু করেই থাকব।'