কলকাতা: হাসপাতালে শুয়ে থাকতে চায়নি সে । স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল বাবাকে । আর তাতেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা হল। মাত্র ১০ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্সে (Ambulance) চেপে স্কুলে পৌঁছল সৌম্যাশীষ । 

 

আজ থেকে শুরু হয়েছে দশম শ্রেণীর সিবিএসই (CBSE) পরীক্ষা । অথচ গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে লিভারের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুলের (South Point High School) ছাত্র, কসবা এলাকার বাসিন্দা সৌম্যাশীষ দত্ত । তবে মন পড়েছিল পরীক্ষা হলেই । অসুস্থ হওয়া সত্বেও বাবার কাছে স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার আর্জি জানায় ছোট্ট সৌম্যাশীষ । সোমবার সকাল হতেই সে বলে, 'যে করে হোক পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দাও' ।

 

এরপর বাবা স্নেহাশীষ দত্ত ছেলের নাছোড় বায়নায় কিছু না ভেবেই যোগাযোগ করেন কসবা ট্রাফিক গার্ডের (Kasba Trafic Gaurd) ওসি ইনস্পেকটর অমরেশ ঘোষের সঙ্গে । জানান, কোনওভাবে বাইপাসের (Bypass) ধারের হাসপাতাল থেকে বালিগঞ্জে (Ballygaunj) তাঁর স্কুলে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব কিনা ?

 

আর এ কথা শোনা মাত্রই রাজি হয়ে যান ইনসপেক্টর অমরেশ ঘোষ । এর পর সৌম্যাশীষকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পড়ে সাউথ ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের ইনস্পেকটর আশীষ রায়ের ওপর । তড়িঘড়ি পাইলট সমেত ‘গ্রিন করিডর’ (Green Corridor) করে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতাল থেকে সোজা পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয় সৌম্যাশীষকে ।



 

রাসবিহারী (Rasbihari) কানেক্টরের গ্রিন করিডর (Green Corridor) ধরে ১০ মিনিটের মধ্যে স্কুলে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে স্কুলে পৌঁছে পরীক্ষা দিল সৌম্যাশীষ । পর পর পাইলট হিসেবে সঙ্গ দেন কসবা ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট সুজয় কুমার সাহা ও সাউথ ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট দেবজ্যোতি বিশ্বাস । সৌম্যাশীষের মনের জোর এবং সঙ্কল্পকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা পুলিশ ফোর্স, কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে জানানো হয়েছে অসুস্থ স্যোমাশীষ পরীক্ষার পর আবার হাসপাতালে ফিরে গিয়েছে । আর্জি বাস্তবায়নের জন্য কলকাতা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে স্যোমাশীষের গোটা পরিবার । সোমবার এই গোটা ঘটনাটি নিজেদের ফেসবুক (Facebook) পেজে দিয়ে সৌম্যাশীষকে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ ।