কলকাতা: নিজের কেরিয়ারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ রুক্মিণী মৈত্রের সামনে। তা যেন কঠিন, তেমনই উপভোগ্য। এই প্রথম পর্দায় কারোও জীবনকে তুলে ধরবেন অভিনেত্রী। তাও, বিনোদিনীর। শ্যুটিং শুরু হয়েছে রামকমল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি 'বিনোদিনী-এক নটির উপাখ্যান'-এর শ্যুটিং। আর সেই ছবিতেই রুক্মিণীকে সঙ্গ দিতে সেটে হাজির থাকলেন দেব।


আজ সেট থেকে একটি ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন দেব। হেডফোন কানে নিয়ে তিনি চোখ রেখেছেন মনিটরে। পাশ বসে পরিচালক রামকমল। সামনে রাখা বিনোদিনীর স্ক্রিপ্ট। এই ছবিটিতে অভিনয় না করলেও প্রযোজক হিসেবে থাকছেন দেব। এই ছবি শেয়ার করে নিয়ে দেব লিখেছেন, 'বিনোদিনীর সেট থেকে, আমার প্রিয় বন্ধু ও পরিচালক রামকমলের সঙ্গে।' এখানেই থামেননি দেব, লিখেছেন, 'এই কাজটার জন্য আমি অপেক্ষা করছি রুক্মিণী।'                                                                                                                     


আরও পড়ুন: Aparajita Adhya: 'মায়ের সঙ্গে কাটানো এটাই হয়তো শেষ জন্মদিন', সত্যি হল অপরাজিতার সেই আশঙ্কাই


এই ছবি দেখার পরে অনেক অনুরাগীই দেবকে অনুরোধ করেছেন 'বাঘাযতীন'-এর ঝলক শেয়ার করার জন্য। এখন সেই ছবির কাজেও ব্যস্ত দেব। তার মধ্যেই সময় বের করে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন রুক্মিণীর শ্যুটিং সেটে। অন্যধারার এই ছবিতে প্রিয় মানুষের কাজ, অভিনয়, চ্যালেঞ্জ সবই সামনে থেকে দেখতে চান দেব।  এই ছবির অন্যান্য় চরিত্রে দেখা যাবে রাহুল বসু (রাঙা বাবু), কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (গিরিশ চন্দ্র ঘোষ), গৌতম ঘোষ (দাশু নিয়োগী), মীর (গুরমুখ রাই), চান্দ্রেয়ী ঘোষ (গঙ্গা বাঈ), ওম সাহানি (কুমার বাহাদুর)-কে। ক্যামেরার দায়িত্বে রয়েছেন সৌমিক হালদার। 


ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে বিনোদিনীর বেশে রুক্মিণীর লুক। নিজের লুক প্রকাশের পরে রুক্মিণী বলছেন, 'আমায় বিনোদিনীর মতো করে সাজিয়ে তোলা যথেষ্ট পরিশ্রমসাধ্য আর কঠিন ছিল। তবে আমার টিমের ওপর ভরসা ছিল যে ওরা পারবেই। আমি কিছুই করিনি, কেবল ওদের বিশ্বাস করে গিয়েছি। তারপর দেখলাম ওরা একটা ম্যাজিক করে ফেলেছে। আমায় বিনোদিনী সাজিয়ে তুলতে মেকআপ থেকে শুরু করে কেশসজ্জা, পোশাক সব মিলিয়ে ৪ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। রামকমলের কথাতেই আমার মেকআপে শিমার যোগ করা হয়েছিল যাতে পর্দায় আমায় ঝকঝকে দেখায়। তবে যেহেতু এটা পিরিয়ড ড্রামা, সেটা মাথায় রেখেই ছবির টোন ম্যাট হিসেবে সেট করা হয়েছিল। এই দুয়ের মেলবন্ধন ঘটানো ছিল বেশ কঠিন। এই ছবিটা বিনোদিনী দাসীর আশীর্বাদ ছাড়া সম্ভব ছিল না।'