সমাজের কাছে তাঁরা ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাই। কিন্তু গোপনে গড়ে উঠেছিল সম্পর্ক। তাঁদের বিশেষ মেলামেশার কথাও জানতেন অনেকে। কিন্তু 'সম্পত্তির লোভে'সত্তরোর্ধ বাড়িওয়ালাকে এবার পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল সেই ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে। ওড়িশার গঞ্জাম জেলার ঘটনা। 

অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়িওয়ালা হরিহর সাহু যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন জেনা তার ঘরে ঢুকে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয ভাড়াটিয়া সুদেষ্ণা জেনা। এরপর প্রমাণ লুকানোর চেষ্টাও করা হয়।  বাড়িওয়ালার মোবাইল ফোনটি বাড়ির উঠোনের ভেতরের দিকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর যে প্লাস্টিকের বোতলে কেরোসিন আনা হয়েছিল, সেটাও আগুনে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। প্রমাণ লোপাট করে ফেলার পর ভাড়াটিয়া সুদেষ্ণা জেনা চিৎকার চেঁচামেচি করে লোক জড়ো করেন। পাড়া প্রতিবেশীদের সাহায্যে সাহুকে উদ্ধার করার ভানও করেন ! কিন্তু তার আগেই বাড়িওয়ালার মরা নিশ্চিত করে ফেলেন ওই মহিলা। অভিযোগ এমনটাই।  পুলিশ জানায়, মহিলা এতটাই ধূর্ত যে, নিজেই মেরে,দাবি করেন, দুই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি বাড়িওয়ালার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিকে  প্রথমে বেরহামপুরের একটি হাসপাতালে এবং পরে কটকের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। 

বাড়িওয়ালাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে ভাড়াটিয়া ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ,বছর ৫৭র  সুদেষ্ণা জেনার নজর ছিল বৃদ্ধের সম্পত্তিতে। তাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকলেও অভিসন্ধি ছিল  ৭২ বছর বয়সী বাড়িওয়ালার গোটা বাড়িটাই দখল করা। বাড়িওয়ালা হরিহর সাহুর সঙ্গে নাকি বিশেষ সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল তাঁর।  পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সারাভানা বিবেক এম জানান, তদন্তে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত প্রৌঢ়া সুদেষ্ণা জেনার সঙ্গে গত পাঁচ বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত রাজস্ব পরিদর্শক হরিহর সাহু। সেই সম্পর্কের সুযোগ নিয়েই বৃদ্ধর নাড়িনক্ষত্র জেনে , তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বিধবা ভাড়াটিয়া জেনা।  

ভয়ঙ্কর ঘটনা বঙ্গের মালদাতেও

 আর্থিক বিবাদের জেরে, পরিবারের লোকেদের হাতেই নৃশংস খুন হতে হয় মালদা ব্যবসায়ীকে। দীর্ঘদিন ধরে  নিখোঁজ ছিলেন তিনি। অবশেষে মিলল ব্যবসায়ীর মৃতদেহ। চাঞ্চল্যকরভাবে তাঁর দেহ উদ্ধার হল দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানা এলাকায়। অভিযোগ, তাঁকে খুন করে বাড়িতে মৃতদেহ পুঁতে রাখা হয়। দেহ দেওয়ালে ঢুকিয়ে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়েছিল । গত ১৮ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন মালদার পুখুরিয়া থানার বাসিন্দা সাদ্দাম নাদাব। তিনি পেশায় ঠিকাদার। কাজ করতেন ভিনরাজ্যে ।  ইংরেজবাজার থানায় সাদ্দামের আত্মীয়রা নিখোঁজের অভিযোগ জানান। যুবকের কাকিমার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে।  গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।