অরিত্রিক ভট্টাচার্য, রুমা পাল, কলকাতা : কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মহিলা তৃণমূলের ( TMC ) ধর্না । ধরনার দ্বিতীয় অর্থাৎ শেষ দিনে, সেই ধর্নামঞ্চেই লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন।  তবে, কোনও লক্ষ্মী প্রতিমা নয়, এই পুজো লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের।


শপথের এক যুগ
২০১১ সালের ৫ই মে  শপথ নিয়েছিল প্রথম তৃণমূল সরকার। এদিন, সেই তৃণমূল সরকারেরই শপথের এক যুগ পূর্ণ হল। 
গত কয়েক বছরে, রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের মধ্য়ে নজর কেড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। তারই ঘটা করে উদযাপন হল ধরনা মঞ্চে।

লক্ষ্মী শান্তি চায়, কটাক্ষ
মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য় সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর কথায়, ' এক যুগ সম্পূর্ণ হল, আমাদের সরকারও মা লক্ষ্মীর মতো' । তৃণমূলের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পুজো নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এদিন বলেন, 'ওসব করে কিছু হবে না। হাতে বোমা-বন্দুক নিয়ে লক্ষ্মী আসবে না, লক্ষ্মী শান্তি চায়' 

লক্ষ্মীবারে ধরনামঞ্চে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পুজোয় এভাবেই মিশে গেল রাজনীতি। 


আরও পড়ুন, বিছানায় ফোন রেখে ঘুম মৃত্যু ডেকে আনার সমান! আশঙ্কা প্রকাশ গবেষকদের

অন্যদিকে, তৃণমূলে (TMC) নবজোয়ার (Nabajoar) কর্মসূচিতে শুক্রবার মালদার (Malda) ইংরেজবাজারে একমঞ্চে হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এদিন মালদার প্রশাসনিক সভা থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) নিয়েও নতুন ঘোষণা করেন মমতা। 


এদিন তিনি বলেন, 'আমরা যা প্রকল্প এবং সামাজিক কাজ করেছি তা বিশ্বের কোথাও হয়নি। এখন তো অনেকে করছে আমাদেরটা টুকে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করে মেয়েদের জন্য আমি ভবিষ্যতের জন্য একটা সুরক্ষা দিয়ে দিয়েছি। আজ যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন, যেই তাঁদের ৬০ বছর বয়স হয়ে যাবে তখন তাঁরাই পাবে বার্ধক্য ভাতা। অর্থাৎ সারাজীবনের জন্য একজন মহিলা পকেটমানি পাবেন। সেটা নিশ্চিত করেছি আমরা। ছেলেমেয়েদের পড়াশুনোর জন্যও সব স্কিম রয়েছে।' 


মালদার প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, 'আগে নিয়ম ছিল স্বাস্থ্যসাথী যার নামে, বাড়ির সেই মহিলাই কেবল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতেন। এখন কিন্তু নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে। এখন সবাই পাবে। বাড়ির সব মহিলারাই পেতে পারেন।' 


এদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য বাজেটে নজর গ্রামে। এর আগে, ষাট বছর হলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকদের সরাসরি বার্ধক্য ভাতা প্রতি মাসে মিলবে ১ হাজার টাকা, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর। কৃষিকাজে ব্যবহৃত সেচের জলে কর মকুব রাজ্য বাজেটে। গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে রাস্তাশ্রী প্রকল্প, বরাদ্দ ৩ হাজার কোটি টাকা। ১১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার নতুন সড়ক ও মেরামতিতে বরাদ্দ ৩ হাজার কোটি। নির্মাণকাজে উৎসাহ দিতে বাড়িঘর ক্রয়ের উপর। স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড় বহাল আরও ৬ মাস। সার্কেল রেটে ১০ শতাংশ ছাড়ের সুবিধা সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের জন্য ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের ঘোষণাও করা হয়।