কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) জন্য ব্যাহত হয়েছে ডেঙ্গি (Dengue) প্রতিরোধের কাজ। তাই জেলার গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই কথা স্বীকার করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। ২০১৭ সালের মতো হলে, পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে বলে আশঙ্কা। অন্যদিকে, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এ বছর জলপাইগুড়ির ডেঙ্গি পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।


ব্যাহত ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ: দিকে দিকে জমা জল। বাড়বাড়ন্ত মশার। বৃষ্টির মধ্যেই জেলায় জেলায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। কিন্তু বর্ষা তো এবার সেভাবে দাপট দেখাতেই পারেনি। তারপরেও কীভাবে দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি? উত্তর ২৪ পরগনার জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনের কর্তারা স্বীকার করছেন, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ব্যাহত হয়েছে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ। প্রশাসন সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি ৪৭ জন। ২০১৭-র মতো এবারও পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে আশঙ্কা।

অন্যদিকে, রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো জলপাইগুড়ি জেলাতেও দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এই বছর জলপাইগুড়ি জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বছর আক্রান্ত হয়ে ছিলেন ৩ হাজার ৯০৮ জন। মৃত্যু হয়েছিল চার জনের। সেখানে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫২।

জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার বলেন, “এই বছর পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে, এদিন পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ জন, মৃত্যুর কোনও খবর নেই, জেলা জুড়েই ডেঙ্গু রুখতে ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা, আক্রান্ত এলাকায় পতঙ্গ বিশেষজ্ঞ এবং মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’’পুরসভা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলছে নিকাশি পরিষ্কার ও কীটনাশক স্প্রে করার কাজ।


কলকাতা ছাড়িয়ে জেলাতেও বাড়ছে ডেঙ্গির দাপ। গত ১২ দিনে রাজ্য়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। কিন্তু, কোন প্রজাতির ডেঙ্গি বঙ্গের ঘরে ঘরে হানা দিচ্ছে, তা নিয়ে অন্ধকারে নাইসেড। এমনই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে, সরকারি মেডিক্য়াল কলেজগুলির সঙ্গে জোড়া ভার্চুয়াল মিটিং করলেন স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তারা। ডেঙ্গি পরিস্থিতি গত বছরের মতো যাতে না হয়, তার জন্য সতর্ক করা হয়েছে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজকে। বলা হয়েছে, অবহেলা কোনও ভাবে বরদাস্ত করা হবে না।বলা হয়েছে, মেডিক্য়াল কলেজগুলিতে ফিভার ক্লিনিক খুলতে হবে। সম্ভব হলে আউটডোর থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি হলে, ডেঙ্গি আক্রান্তদের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা যাচাই করে রিপোর্ট দিতে হবে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: WB Dengue: ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, জেলায় জেলায় বাড়ছে প্রকোপ