দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে ম্যানগ্রোভ রোপণ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের উদ্যোগে এই কাজ শুরু হয়েছে সোমবার। ৩৯০ হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ রোপণ শুরু করা হয়েছে। সুন্দরবনের ১৬টি জায়গায় এই ম্যানগ্রোভ রোপন করা হবে। সোমবার রায়দিঘিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এক হাজার ম্যানগ্রোভ রোপনের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এছাড়া ডায়মন্ড হারবার জেটিঘাট থেকে কেল্লারমোড় পর্যন্ত বনদফতরের উদ্যোগে একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। পদযাত্রায় ছিলেন ডিএফও মিলন মণ্ডল, এডিএফও চিন্ময় বর্মন, পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণব দাস। এছাড়া স্কুল ও কলেজের পড়ুয়া, এলাকার সাধারণ মানুষ পা মেলান। কেল্লার মাঠে আবর্জনা সাফাই করেন পড়ুয়ারা। পরে ফকিরচাঁদ কলেজে শুশুক সংরক্ষণের উপর একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।


উষ্ণায়ন রুখতে সবুজায়ন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে গাছের চারা বিলি করলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। গড়িয়ার কামডহরি এলাকায় পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিতে আয়োজন করা হয়েছিল মহিলাদের সাইকেল র‍্যালির। দূষণহীন যানের সুফল বোঝাতেই সাইক্লথনের আয়োজন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর।   


পরিবেশ দূষণের কারণে উষ্ণ হচ্ছে বায়ুমণ্ডল। গলতে শুরু করেছে হিমবাহ। তার প্রভাব পড়ছে আবহাওয়ায়। তাই এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে প্রতিবছর ৫ জুন পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। সেই ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে গড়িয়ার কামডহরিতে ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপ দাসের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ উৎসবের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছিল গো গ্রিন। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় গাছ পোঁতা হয়। 


শনিবার ছিল বিশ্ব সাইকেল দিবস। পরিবেশ রক্ষায় দূষণহীন যানের প্রয়োজন বোঝাতে রবিবার ১১১ নম্বর ওয়ার্ডে সাইক্লথনেরও আয়োজন করা হয়। মহিলাদের সাইকেল র‍্যালি অংশ নেন ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে এলাকার বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যদের হাতে গাছের চারা তুলে দেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। 


ইতিহাস:
১৯৭২ সালে 'স্টকহোম কনফারেন্স অন হিউম্যান এনভায়রনমেন্ট'-এ ৫ জুন দিনটিকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। ১৯৭৩ সালে প্রথম বার উদযাপন হয়  'বিশ্ব পরিবেশ দিবস।' স্লোগান ছিল, 'ওনলি ওয়ান আর্থ।' স্টকহোম কনফারেন্স থেকে 'ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম' বা UNEP নামে একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চও তৈরি করা হয়।'ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম' বা UNEP  এমন একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চ যেখানে, পরিবেশ সংরক্ষণের কাজে ১৪৩টিরও বেশি দেশ অংশগ্রহণ করে। চলতি বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম, প্লাস্টিক-দূষণ মোকাবিলার পথ  সন্ধান করা। এবার তাই ক্যাম্পেনের নামকরণ হয়েছে, 'BeatPlasticPollution'।  রাষ্ট্রপুঞ্জের হিসেব অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে গড়ে ৪০ কোটি টনেরও বেশি প্লাস্টিক তৈরি হয়। কিন্তু তার মধ্যে মোটে ১০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য, বাকি প্লাস্টিকের বিরাট অংশ জলাশয়, নদী, সমুদ্রে এসে জমে থাকে। এর মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক খাবার, জল ও বাতাসের সঙ্গে মিশে যায়। ছড়িয়ে পড়ে নানা ভাবে। কী ভাবে এই প্লাস্টিক-দৈত্যের মোকাবিলা করা যায়, কী ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি করে এই নিয়ে কাজ করার জন্য উদ্দীপিত করা যায়, সেটিই এই বারের থিম। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এ বছরই 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস' উদযাপনের ৫০তম বছর।  


আরও পড়ুন: গরম পড়লেই ভরসা আখের রসে? কতটা কাজে লাগে? আদৌও উপকার রয়েছে?