কলকাতা: আইসিএমআর-এর গত দুমাসের ভাইরাল টেস্টের পরিসংখ্যানের তালিকার সর্বোচ্চে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনো ভাইরাসের উপস্থিতির হার ৩৮%। দ্বিতীয় স্থানে আছে তামিলনাড়ু, সেখানে উপস্থিতির হার ১৮%। তৃতীয় স্থানে আছে কেরল, সেখানে উপস্থিতির হার ১২%।                                       


তালিকার সর্বোচ্চে পশ্চিমবঙ্গ: উদ্বেগের বিষয় হল রাজ্যে এই হার এখনও ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের উপস্থিতির হার ৪০ % ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা নাইসেড অধিকর্তা শান্তা দত্তের। শান্তা দত্তের অভিযোগ 'রাজ্যের সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে আইসিএমআর-এর গাইডলাইনকে উপেক্ষা করেও কাজ করছে নাইসেড।কিন্তু স্বাস্থ্যদফতর অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রান্ত কোনও কর্মসূচিতে নাইসেডকে অন্তর্ভুক্ত করছে না।                                                             


রাজ্যজুড়ে বাড়ছে অ্যাডিনো আতঙ্ক।  গতকাল রাত থেকে, আজ ভোর ৬টা... বিসি রায় শিশু হাসপাতালে আরও ৩ শিশুর মৃত্য়ু হল। ভয়ঙ্কর অ্য়াডিনো আতঙ্কের মধ্যেই, শিশুমৃত্য়ুর সংখ্য়া বেড়ে হল ১৩৫। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৫-এ বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্য়ু হয় চুঁচুড়ার বাসিন্দা, ১১ মাসের শিশুপুত্রের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুর জ্বর ও সর্দিকাশি ছিল। এরপর রাত আড়াইটে নাগাদ মৃত্য়ু হয় বনগাঁর বাসিন্দা, দেড় বছরের আরেক শিশুর। আজ ভোর রাতে মৃত্য়ু হয় উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের ২ বছরের শিশুর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুই শিশুরই জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্য়া ছিল। অন্য়দিকে, রায়গঞ্জ মেডিক্য়াল কলেজে গতকাল মৃত্য়ু হয়েছে ২ শিশুর। ক'দিন আগেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী। ছবি তুলতে নিষেধ করা থেকে, শিশু মৃত্যু নিয়ে খবর করাতেও আপত্তি জানান তিনি। বুধবার তিনিই স্বীকার করলেন, ভাইরাসজনিত কারণে এরকম যে হবে, তা জানা ছিল না।


অ্যাডিনো ভাইরাস আতঙ্কের মাঝেই পরপর শিশুমৃত্যু। প্রতিবাদে বিজেপির স্বাস্থ্যভবন অভিযানে ধুন্ধুমার। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। ধস্তাধস্তিতে রক্তাক্ত বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী। মাথা ফাটল এক বিজেপি কর্মীর। হাত কাটল বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের। ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি নেত্রী তনুজা চক্রবর্তী। 


আরও পড়ুন: Sukanta Majumder: বামেদের সঙ্গে তৃণমূলের বোঝাপড়ার অভিযোগ, বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার