শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ এক যুবক। কোচবিহারের মাথাভাঙার জোরপাটকি এলাকার ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, জমি বিবাদের জেরে সামিউল মিঞাঁ নামে বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবককে গুলি করা হয়েছে।


ঘটনার পর স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি সামিউলের কাছ থেকে একটি জমি কেনে তার প্রতিবেশী। সেই প্রতিবেশীর নাম আসারউদ্দিন মিঞাঁ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সেই জমি নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। এরপর তাঁদের অভিযোগ, গতকাল সামিউল মিঞাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি চালায় আসারউদ্দিন মিঞাঁ। সামিউলের বুকে ও বুকের পাশে দুটি গুলি লাগে। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তাঁদেরও প্রাথমিকভাবে অনুমান, জমি নিয়ে ঝামেলার জেরেই এই ঘটনা। অভিযুক্ত আসারউদ্দিনের সন্ধান চলছে এখনও। ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। 


কিছুদিন আগেই সম্পত্তি বিবাদের জেরে নিজের বৌদিকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল সিভিক ভলান্টিয়ার সহ দুই দেওরের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছিল মালদা জেলার গাজোল থানার রানীগঞ্জ এলাকায়। মৃত গৃহবধূর নাম সুমিত্রা ঘোষ। তাঁর বয়স ছিল ঊনত্রিশ বছর। আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই গৃহবধূর স্বামী রাজু ঘোষও। অভিযুক্তদের নাম উজ্জ্বল ঘোষ ও অমিত ঘোষ। উজ্জ্বল ঘোষ গাজোল থানার সিভিক ভলান্টিয়ার পদে কর্মরত রয়েছেন। 


পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই জমি জায়গা নিয়ে তাদের মধ্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ লেগেই ছিল। এই নিয়ে একদিন রাতে ওই তিন পরিবারের বচসা বাধে। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন বাঁশ দিয়ে দাদা রাজু ঘোষ ও বৌদি সুমিত্রা ঘোষকে বেধড়ক মারধরের করে সিভিক ভলান্টিয়ার উজ্জ্বল ঘোষ ও তার ভাই অমিত ঘোষ। আক্রান্তদের তড়িঘড়ি স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুজনকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।