Ansar Seikh Success Story: ভারতের কনিষ্ঠতম IAS অফিসার হিসেবে দেশের মধ্যে অন্যতম আইকন আনসার শেখ (Ansar Shaikh)। খুব গরীব ঘর থেকে উঠে এলেও তাঁর সাফল্যের পথে এই যে যাত্রা, সেই নিষ্ঠা আর পরিশ্রম অন্যান্য পরীক্ষার্থীর কাছেও অনুপ্রেরণার মত। ছোটবেলা থেকেই নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে কেটেছে আনসারের। কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন তিনি। মাত্র ২১ বছরেই IAS হয়ে আনসার দেখিয়ে দিয়েছেন, বাধা পেরিয়ে আসা যায়। সাফল্য চাইলে সব বাধা পেরিয়ে আসা যায়।


কষ্টের দিন


মহারাষ্ট্রের জালনা গ্রামের মারাঠওয়াড়া গ্রামে তাঁর (Ansar Shaikh) জন্ম হয়। তাঁর বাবা অটোরিকশা চালাতেন। সংসার প্রতিপালনের জন্য তাঁর মা ক্ষেতে কাজ করতেন। ছোট ভাই আনিস স্কুলে পড়ত ঠিকই, কিন্তু সংসারের আর্থিক চাপ সামলাতে না পেরে বাধ্য হয়েই তাঁকে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়। ছোটবেলা থেকেই আনসার চাইতেন IAS হতে, আর তাঁর স্বপ্নপূরণের জন্য যাতে সে ঠিকভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে তাঁর জন্য তাঁর ভাই আনিস সপ্তম শ্রেণির পর পড়াশোনা ছেড়ে গ্যারেজে কাজ করতে শুরু করেছিল। সেই টাকাতেই চলত সংসার। আনসারের উপর আঁচও আসত না। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা থাকলেও আনসারের পরিবার চেয়েছিল তাঁর পড়াশোনাটাকেই বেশি গুরুত্ব দিতে।


পড়াশোনা, প্রতিকূলতা


দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৯১ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেন আনসার (Ansar Shaikh)। তারপর পুনের ফার্গুসন কলেজে স্নাতক স্তরে ভর্তি হন তিনি। এই সময় থেকেই UPSC পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন আনসার শেখ। এই পরীক্ষার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং মরাঠি ভাষাকে বিকল্প বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। ছোটবেলায় বহু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। তাঁর ভাইকে পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছে, তাঁর বোনকে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবু হাল ছাড়েননি আনসার। ২০১২ সালে পুনের ফার্গুসন কলেজে তিনি যখন ভর্তি হন, তাঁর কেবলমাত্র দু-জোড়া জামা ছিল আর মায়ের সঙ্গেই তিনি থাকছিলেন তখন। তাঁর ভাই বাবার হাতে তুলে দিত ৬০০০ টাকা যা থেকে খানিক সঞ্চয়ের জন্য রেখে দিয়ে সেই টাকাটা আনসারকে দেওয়া হত পড়াশোনা চালানোর জন্য।


কীভাবে প্রস্তুতি নিলেন


২০১৬ সালে UPSC পরীক্ষায় ৩৬১ র‍্যাঙ্ক অর্জন করে মাত্র ২১ বছর বয়সেই IAS হন আনসার শেখ। বর্তমানে তিনি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে ADM পদে কর্মরত। বলাই বাহুল্য তিনিই দেশের মধ্যে কনিষ্ঠতম IAS অফিসার হিসেবে পরিগণিত হন।  


প্রত্যাশীদের জন্য টিপস


পরিশ্রম আর অটল বিশ্বাসই তাঁর সাফল্যের মূলমন্ত্র বলা চলে। দিনে ১০-১২ ঘণ্টা সময় পড়াশোনা করতেন তিনি, স্ট্র্যাটেজি মেনে প্রস্তুতি নিয়েছেন। আর লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। সাফল্যে সেভাবেই আসে।   


আরও পড়ুন: Jobs And Recruitments: ইন্ডিয়ান অয়েলে শিক্ষানবিশ পদে নিয়োগ, শূন্যপদ কত? কবে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন?


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI