আর গড়গড় করে মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতা ভরানো নয় ! পড়াশোনার ধ্যান ধারণাই বদলে দিতে উদ্যোগ নিচ্ছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন বা CBSE। এবার স্কুলগুলির পড়াশোনা এবং পরীক্ষার পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। সূত্রের খবর, এমন ভাবেই ঢেলে সাজানো হবে সিবিএসই-র সিলেবাস ও প্রশ্নপত্র, যাতে বদলে যেতে পারে পড়াশোনার পদ্ধতি। এর ফলে শুধু মুখস্থ করে পাশ করার চাপ থেকে মুক্তি মিলবে। নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP 2020)-এর অধীনে, CBSE একটি বিশেষ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম শুরু করতে চলেছে। এর মাধ্যমে বোঝা যাবে, ছাত্রছাত্রীরা বিষয়গুলি কতটা বুঝেছে এবং তারা সেগুলি আসল জীবনে ব্যবহার করতে পারছে কিনা।
এই পরিবর্তন শুধু পরীক্ষার পদ্ধতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং শিশুদের চিন্তা করার, বোঝার এবং জ্ঞান প্রয়োগ করার ক্ষমতাও বাড়াবে। এর উদ্দেশ্য হল, আগামী প্রজন্ম যেন শুধু নম্বরের পিছনে না দৌড়য়। বিষয়বস্তুর আত্মীকরণে জোর দিচ্ছেন শিক্ষানীতি প্রয়োগকারীরা।
CBSE-র নতুন পরিকল্পনা একটু অভিনব। পরীক্ষা মানেই পড়াশোনা শেষ নয়। পরীক্ষা হবে শিক্ষার প্রয়োজনীয় অংশ। এখন থেকে দেখা হবে, ছাত্রছাত্রীরা তাদের শিক্ষা কীভাবে ব্যবহার করছে। NEP 2020-এর সুপারিশ অনুসারে, মূল্যায়নের পদ্ধতি শিশুদের আরও ভালো করে পড়া বুঝতে উৎসাহ জোগাবে। শুধু মুখস্থ করার উপর নির্ভরশীল থাকবে না শিশুরা। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে CBSE ৬ থেকে ১০ শ্রেণী পর্যন্ত যোগ্যতা ভিত্তিক পরীক্ষার কাঠামো (Competency-Based Assessment Framework) আগেই চালু করেছে। এতে বিজ্ঞান, গণিত এবং ইংরেজির মতো প্রধান বিষয়গুলিতে শিশুদের বোধগম্যতা, যুক্তি এবং ধারণাগুলির বিচার হবে।
SAFAL পরীক্ষা কী?
এবার CBSE তৃতীয়, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীর জন্য একটি নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু করছে – SAFAL (Structured Assessment for Analyzing Learning) অর্থাৎ শেখার বিশ্লেষণের জন্য গঠিত মূল্যায়ন। এই অনলাইন পরীক্ষা ছাত্রছাত্রীদের মৌলিক বোধ, যুক্তি, জ্ঞানের ব্যবহার এবং চিন্তাভাবনার ক্ষমতা পরীক্ষা করবে।
উদ্দেশ্য কী?
- শিশুরা বিষয়গুলি কতটা গভীর ভাবে শিখেছে, তা খুঁজে বের করা।
- কোনো শিক্ষার্থী কোন অংশে পিছিয়ে আছে, তা স্পষ্টভাবে জানা।
- শিক্ষকদের এমন ডেটা (data) সরবরাহ করা, যা ব্যবহার করে তাঁরা শিশুদের প্রয়োজন অনুযায়ী পড়ানোর পদ্ধতি পরিবর্তন করতে পারেন।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI